বিআইডব্লিউটিএ এর সাবেক কর্মকর্তার জালিয়াতির বেড়াজালে ভুক্তভোগী লঞ্চব্যবসায়ী

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালীণ সময়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কতিপয় কর্মকর্তা মিলে দীর্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তারা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, নৌ-বন্দর ইজারা, নদীর ড্রেজিং, নদী থেকে বালু উত্তোলন, জাহাজ চলাচলের অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম একজন বিআইডব্লিউটি এর সাবেক উপ পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।

ইতিমধ্যে প্রতারনা ও জালিয়াতি করে লঞ্চ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিআইডব্লিউটি এর সাবেক উপ পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আজ রবিবার ১৮ মে বেলা ১১ টায় ভুক্তভোগীর উপর সাবেক এই কর্মকর্তা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে  বিআইডব্লিউটি এর প্রধান কার্যালয়ে ধস্তাধস্তি ও মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ওয়াহিদ শিপিং লাইনস এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ওয়াহিদ জানান, “বেশ কয়েকদিন আগে আমার শাহরুখ-২ লঞ্চের পার্টনার আবু বকর সিদ্দিক রুট পারমিট করানোর জন্য আলোচনা হয় এবং আমরা আলোচনার মাধ্যমে রুট পারমিট করতে একমত হই। অতঃপর আবু বকর সিদ্দিক একটি এগ্রিমেন্ট করা লাগবে বলে জানায়। আমি সম্মতি দিলে সে একটি এগ্রিমেন্ট রেডিও করে। তবে সেখানে উল্লেখ ছিলো আমি তাকে লঞ্চ ভাড়া দিয়ে দিয়েছি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে আমার স্বাক্ষর নিয়ে যায়। অথচ আমি এর কিছুই জানিনা। রহিমা শিপিং লাইনস এর নামে আবেদন না করে প্রতারনার মাধ্যমে আবু বকর সিদ্দিকের নিজের লাইসেন্স বন্ধন ওয়াটার ওয়েজের নামে রুট পারমিটের আবেদন করে। পরে আমি জানতে পারি যে আবু বকর সিদ্দিক জালিয়াতি করে আমার লঞ্চ ভাড়া এগ্রিমেন্টে সই নিয়েছে”।

এরপরে ভুক্তভোগী ওয়াহিদ বিআইডব্লিউটি এর প্রধান কার্যালয়ে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে তার সাথে ঘটিত ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে বলেন, “আজ আমি বিআইডব্লিউটি এর অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেই। বিআইডব্লিউটি এর অফিসে আবু বকর সিদ্দিক উপস্থিত থাকলে তাকে জালিয়াতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি। সে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে আবু বকর সিদ্দিকের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। কিল ঘুশি মারে ও তার লোকজন এসে আমাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়”। আবু বকর সিদ্দিকের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড রুখতে মোহাম্মদ ওয়াহিদ মতিঝিল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

একটি সরকারী অফিসে এমন ধস্তাধস্তির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটি এর দায়িত্বশীল কাউকেই পাওয়া যায় নি। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু এর পিছনে বিআইডব্লিউটিএ এর কোনো অসাধু কর্মকর্তা জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। বিআইডব্লিউটি এর সাবেক উপ পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের জালিয়াতি করে শতকোটি টাকার সম্পদের বিবরণ তুলে ধরবো আগামী পর্বে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement