তাজুল ইসলাম, বিরল, দিনাজপুর
দিনাজপুরের বিরল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলামের বিরুদ্ধে ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদানের সুফলভোগিদের তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাবার যোগ্য নয় এমন অনেকেই ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা উত্তোলন করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সব মিলে বিরলে ল্যাকটেটিং মাদার ভাতার তালিকায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা। দেখার কেউ নেই। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদানের জন্য বিরল পৌরসভায় ২৫০ জন সুফলভোগির তালিকা তৈরি করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলাম। এদেরমধ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিরল পৌরসভার বাইরের দিনাজপুর, তেঘরা, দেওয়ানজিদীঘি, কাহারোল উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরতদের এবং পাবার অযোগ্যদেরও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদান করে আসছেন। ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা পাওয়ার পরও পুনরায় ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা পাচ্ছেন, তারা হলো- পৌরসভার ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের মর্জিনা খাতুন, এনআডি নং ৬৪৪২০২৪৫৭৩, পিতা মজিদুল হক, মাতা হামিদা খাতুন, স্বামী আতিকুর রহমান, আইরিন নাহার, এনআডি নং ৭৩৫২১০১০৪৭, পিতা মাবুব আলম, মাতা শাহনাজ বেগম, স্বামী গুলজার হোসেন, রুবিনা খাতুন, এনআইড নং- ৮৬৯২৪১৬২৬৯, পিতা আব্দুল জলিল, মাতা খোতেজা বেগম, স্বামী রুবেল, রিতা বানু, এনআইডি নং-৪৬৬৪০০০৩৩০, পিতা হাচেন আলী, মাতা নাজমা বেগম, স্বামী শাহিন ইসলাম। তিন সন্তানের জননীকেও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদান করছেন, তারা হলো- মাজেদা , এনআইডি নং- ৭৩৩৯০৪৬৭৭৮, পিতি মুছা, মাতা জিন্নাহ, স্বামী মাসুদ, ময়না, এনআইডি নং-১৪৮৮৯৯৫৩৩১ পিতা আবুল হোসেন, মাতা গফুরন, স্বামী ছালাম, শিল্পী আরা, এনআইডি নং- ৮৬৮৮৮৫১৯৪১, পিতা আবেদ আলী, মাতা ছিদ্দিকা গেম, স্বামী সফিকুল আলম, শিউলি এনআইডি নং- ১৪৮৮৮০৪২৯৩, আনিছা, এনআইডি নং- ১৯৮৭২৭১১৭২৮৩৭৩৪৯৩, পিতা ইলামদ্দীন, মাতা নবিজান, স্বামী শুকুর আলী, তাহেরা বানু, এনআইডি নং- ৬৮৮৯১৮৭৪৩৮, পিতা মোতাহার আলী, মাতা মল্লিকা, স্বামী নজরুল ইসলামের সন্তানের বয়স ১২ বছরের উর্দ্ধে। বিরল পৌরসভায় বসবাস করেন না এমন সংখ্যাও কম না যেমন, দিনাজপুর পৌরসভার মৌসুমী আক্তার, এনআইডি নং- ৬৯১৩১৪০৮০৯, পিতা মোজাম্মেল হক, মাতা শহিদা সেফালী, স্বামী রফিকুল ইসলাম, বিরল উপজেলার ২ নং ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা এলাকার হাসিনা খাতুন, এনআইডি নং- ৩৭৫০০২৯৪৪৩, পিতা হায়দার আলী, মাতা মেহেনা বেগম, ইসরাফিল, দেওয়াজিদীঘি এলাকার নাসরিন আক্তার এনআইডি নং-৫৯৬৭৬৪১৯৭৭ পিতা হায়দার আলী, মাতা মেহেনাজ বেগম, স্বামী মিন্টু, ৬ নং ভান্ডারা ইউনিয়নের পাকুড়া এলাকার মোসলেমা খাতুন, এনআইডি নং-৬৮৫৬৪৬৯৯৪২, পিতা লোকমান হাকিম, মাতা মমতাজ বেগম, স্বামী নাজমুল ইসলাম, জান্নাতুস ফেরদৌস, এনআইডি নং- ৮২৩৮৭২৩৬০৮, আব্দুল হান্নান, মাতা মাফরুজা খাতুন, স্বামী- রবিউল, ৫ নং বিরল ইউনিয়নের জসরাল গ্রামের আইভি আক্তার, এনআইডি নং- ৩৩০২০৬০৫৯৯, পিতা নাজমুল হক, মাতা মনোয়ারা বেগম, স্বামী রাহেন, কাহারোল উপজেলার বীনা রাণী, এনআইডি নং- ৩৭৪৪৫০৭৭৪৪, পিতা কার্তিক রায়, মাতা স্বপ্না রানী রায়, স্বামী বাবু।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলামের মুঠোফোনে মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে বিরল উপজেলায় ল্যাকটেটিং মাদার ভাতার তালিকা হ-য-ব-র-ল অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য অনেকের। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।