জাফর ইকবাল, পাথরঘাটা, বরগুনা
সোমবার ২৬ জুলাই রাত থেকে ২৯ জুলাই এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টানা বৃষ্টতে পাথরঘাটা উপজেলার ৪৭ হাজার পরিবারের মধ্যে অধিকাংশ কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হওয়াসহ অন্তঃত ২০ হাজার পুকুর ও মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। এছাড়া সব্জী ও আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা গেছে টানা বৃষ্টিতে অন্তঃত ১৫ হাজার পরিবারের রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় তাদের রান্নাকরা ব্যাহত হচ্ছে। এতে ওইসকল পরিবারগুলোর অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে। পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবারের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম নাসির, রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক,বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য ও পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক ও বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দারসহ একাধিক জনপ্রতিনিধি বলেন তাদের এলাকায় হাতে গোনা দু-চারটা পুকুর ছাড়া বাকি সকল পুকুর ও মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষতি পরিমান এখনই বলা যাচ্ছেনা।
ক্ষতির পরিমানের ব্যাপারে পাথরঘাটা মৎস্য অফিস ও কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে তাদের দপ্তরগুলো তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত সঠিক ক্ষতির পরিমান বলা যাচ্ছেনা। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন ইতোমধ্যে পাথরঘাটা পৌরসভায় ১০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১লক্ষ টাকা এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ২ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকর বলেন পৌরসভার প্রাই পরিবারই পানি বন্দী হয়ে পড়ছে। এবাস্থায় প্রত্যেক পরিবারের জন্য শুকনা খাবারসহ তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা জরুরী হলেও, সরকারি ভাবে যে সহযোগিতা পেয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল। একইভাবে উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগনণ বলেন টানা বৃষ্টিতে উপজেলার সকল পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই এসময়ে তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন হলেও সরকারি ভাবে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ পাওয়া যায়নী।
এদিকে ২৬ জুলাই খেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরহ বন্ধ রয়েছে।