মো.শহিদুর ইসলাম
বৃষ্টি হলেই রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পুরো এলাকা পানিতে টয়টম্বুর হয়ে যায়। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ ধপ্তরটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা চলছে। যেন দেখার কেউ নেই। এখানে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানি ও কাাঁমাটি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ এ প্তরটিতে মানুষ পায়ে হেটে প্রবেশ করতে পারেনা। এ জন্য অনেকে রিকসা নিয়ে প্রবেশ করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তরটিতে প্রায় ১৭টি প্রকল্পের অফিস রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ঢাকা প্রাণিসম্প জেলা অফিস যেখানে প্রতিদিন শতশত মানুষ সেবা নিতে আসে। তা ছাড়াও আছে প্রাণিসম্পদঅধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অফিস। এত জনগুরুত¦ পূর্ণ অফিস থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ অধিদপ্তরটি সংষ্কার করা হচ্ছে না।
ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে সেবা নিতে আসা আব্দুল খালেক নামের একজন বলেন, এ অধিদপ্তরে আমাকে বিভিন্ন সেবা নিতে প্রায়ই আসতে হয় কিন্তু বৃষ্টির সময় ভিতরে যেতে জুতা-প্যান্ট নষ্ট হয়ে যায়। তাই অতি প্রয়োজন হলেও বৃষ্টির সময় অধিদপ্তরের ভিতরে যেতে ইচ্ছা করেনা।
সাভার থেকে আসা রাকিব নামে একজন বলেন, আমি গরুর ভ্যাকসিনের জন্য এসেছি কিন্তু অধিদপ্তরের ভিতরে যেতে পারছিনা কারন বৃষ্টির পানিতে হাটুঁ সমান পানি হয়ে গেছে। এখন রিকসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এ অধিদপ্তরে আমি প্রায়ই আসি কিন্তু অনেক সময় বৃষ্টি হলে ভিতরে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়,বাধ্য হয়ে রিকসা ব্যবহার করি।
এ অধিদপ্তরে ঠিকাদারী কাজ করে মশিউর রহমান তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যে যার আখের গোছাতে ব্যস্ত অদিধপ্তর উন্নয়ন করার সময় কোথায়। আমরা অনেক বার কর্মকর্তাদের বলেছি বৃষ্টির পানি যাতে জমতে না পারে সেজন্য মাটি ফেলে ভরাট করা কথা কিন্তু তারা তা কর্ণপাত করেননা।
নাম প্রকাশে অইচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চারপাশের ড্রেনগুলো যদি পরিষ্কার থাকতো তা হলে এখানে এমন পানি জমতো না। ড্রেনগুলো ভরাট হবার কারনেই এখানে এমন পানি জমে। এখানে ীর্ঘনি যাবত বৃষ্টি হলেই পানি জমে কিন্তু কেউ কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জোরদারকরণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প ও রয়েছে কিন্তু অধিদপ্তরের কোনই জোরদার করা হচ্ছেনা। এ অধিদপ্তরে যে কোন প্রকল্পে কাজ করতে হলে প্রকল্প পরিচালকদের ১০পার্সেন্ট করে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া এ অধিদপ্তরে কাজ পাওয়া যায়না।
এ বিষয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.মো.মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদার সাথে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচারক(প্রশাসন) ও জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হকও এ বিষয় কোন কথা বলতে অপরগতা প্রকাশ করেন