মো.জাফর ইকবাল, পাথরঘাটা, বরগুনা
বরগুনার পাথরঘাটায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ১০ হাজেরের অধিক পরিবার পানি বন্দীসহ ৪ শতাধিক মৎস্য ঘের ও পুকুর তলিয়ে অন্তঃত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। পাথরঘাটা ৪নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগির হোসেন জানান চরলাঠিমারা, বাদুরতলা, পদ্মা, জিনতলা, কোড়ালিয়া, টেংরা, হাড়িটানা, গহরপুর গ্রামগুলিসহ সদর ইউনিয়নের বেড়ীবাধের পাশে বসবাসকারী অন্তঃত ৩ হাজার পরিবার ৪ দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে পানি বন্দী হয়ে পড়ছেন। ৬ নং কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু জানান কাকচিড়া ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর মাঝের চর নামক এলাকাটিসহ বেড়ীবাধ সংলগ্ন কাকচিড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছেন। ৩ নং চরদুয়ানি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুর রহমান জুয়েল বলেন চরদুয়ানি ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামসহ বলেশ্বর নদির তীরবর্তী চরদুয়ানি ইউনিয়নের অন্তঃত ১২শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছেন। ৫ নং কালমেঘা ইউনিয়ন, ২ নং নাচনাপাড়া ইউনিয়ন, ৭ নং কাঠালতলী ইউনিয়ন ও ১ নং রায়াহানপুর ইউনিয়নসহ ৪ টি ইউনিয়নেরও অন্তঃত ১২শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছেন বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যাদের সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া পাথরঘাটা পৌরসভার বলেশ্বর নদির পাড়ে বসবাসকারী পরিবারসহ প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পানি বন্দী হওয়া পরিবারগুলোর রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় রান্নাকরাসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন তারা। এতে ভুক্তভুগী পরিবারগুলোর অর্ধাহারে অনাহারেসহ চরম কষ্টে জীবন যাবন করছেন। এদিকে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪ শতাধিক মৎস্য ঘের ও পুকুর। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি আটকে পড়ায় রোপা আমনসহ চলতি মৌসুমের কৃষির ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা মনে করছেন পাথরঘাটা উপজেলার চেয়ারম্যানগনসহ কৃষকরা। তবে বৃষ্টি হওয়া বন্ধ হলে এবং জোয়ারের পানি নেমে গেলে কৃষিসহ আমন ফসলের কোন ক্ষতির সম্ভবনা নাই বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার ও পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির এর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, নদী সংলগ্ন বসবাসকারী লোকজনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং ভুক্তভুগীদের জন্য ইতোমধ্যে বরগুনা জেলা প্রশাসক দুই টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন, যা তালিকা করে বিতরণ করা হবে।