সোহেল আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি উদযাপন করেছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাদের আয়োজনে স্থানীয় জেলা পরিষদ ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের লোকনাথ রায় চৌধুরী ময়দানে শেষ হয়। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের পরিচালনায় ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
জহিরুল হক খোকন বলেন, ১৯৭৫ সনে ১৫ আগস্টের পরে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল। ৭ নভেম্বর জাতীয়বাদী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিপ্লব সংগঠিত হওয়ার পর বিগত দিনের স্বৈরাচার দেশ থেকে তাড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন।
গত ৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হয়। এতে দলের সুবিধাবাদী কনিষ্ঠ নেতাদের ওপরে রাখা, দলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের নাম পিছনের সাড়িতে রাখা এবং দলের দুঃসময়ের নেতাদেরকে আহবায়ক কমিটিতে না রাখার বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, যাদেরকে আহবায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে তারা গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ফেসিবাদের সাথে থেকে সুবিধা নিয়েছেন। তারা পারিবারিক মামলা হামলায় জেল খেটেছেন। তারা দলীয় কোন মামলা হামলায় জেল খাটেননি, তাদের সকলের বিরুদ্ধে কলঙ্ক রয়েছে। প্রকৃত অর্থে যারা খুনি হাসিনার সরকারের ক্ষমতা থাকাকালীন জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন তারাই আজ দলের পদপদবী থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা আমাদের একমাত্র নেতা তারেক রহমানের কাছে জোরালো দাবি জানাই তিনি যেন আমাদের সকলের সঠিক তথ্য নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দলটাকে সাজিয়ে দেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, নিয়ামুল হক, মাঈনুল ইসলাম চপল, সাবেক ভিপি জহিরুল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন, আলমগীল হোসেন, সভাপতি শামীল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ তৈমুর, শেখ হাফিজ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শেকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাসুদুর রহমান, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি জিয়াউল হক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফোজায়েল চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মহিল দলের আহবায়ক ফারজানা রিমিন ফারাহ দিশা, সদর উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক এডভোকেট জেসমিন আকতার, বিজয়নগর উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক মরিয়ম আলমগীরসহ অসংখ্য নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।