সোহেল আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নোঙর জেলা কমিটির উদ্যোগে শিমরাইলকান্দীস্থ রাজঘাট তিতাস নদীতে সাঁতারের জন্য টিউব বিতরণ করা হয়। ১৯ জুন শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় নোঙর রাজঘাট ইউনিট এর তত্ত্বাবধানে তিতাস নদীতে শিশু কিশোরদেরকে নদীর সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এবং সাঁতার শিখার জন্য ২০টি টিউব বিতরণ করা হয়। বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন “নোঙর” প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি নদীপুত্র সুমন শামস। তিনি বলেন, নোঙর জেলা শাখা “রাজঘাট ইউনিট” এর তত্ত্বাবধানে শিশুদের সাঁতার শেখা ও নদীকেন্দ্রীক আকর্ষণ করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এর মাধ্যমে শিশু, কিশোর, যুবকরা নদীতে সাঁতার কাটবে, যারা সাঁতার শিখে নাই তারা সাঁতার শিখতে পারবে। এতে করে সবাই নদীমুখী হবে। যারা নদীতে সাঁতার শিখতে বা সাঁতার কাটতে আসবে মনের অজান্তে হলেও কোনো এক সময় নদীর প্রেমে পড়ে যাবে।
যখন একটি মানুষের মনে নদীর প্রতি প্রেম/ ভালবাসা সৃষ্টি হবে তখন অন্ততপক্ষে তার দ্বারা নদীর কোনো ক্ষতি হবে না বা কেউ যদি নদী বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয় নদীর প্রেমের টানে হলেও প্রতিবাদটুকু করবে। এভাবেই করে নদীর দখল, দূষণ প্রক্রিয়া থেকে ধীরে ধীরে মানুষ বেরিয়ে আসবে। নদীমাতৃক দেশ আমার প্রিয় সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নদীকে তার নিজস্ব রূপ ফিরিয়ে দিতে হবে। এই নদীকে ব্যবহার করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব। শুধুমাত্র প্রয়োজন সঠিক চিন্তাধারা ও সঠিক পরিকল্পনা। তিনি নোঙর জেলা শাখাকে আহবান করেন মানুষকে বেশি করে নদীর সাথে সম্পৃক্ত করার, নদী সম্পর্কিত মানুষের ধারণা ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার জন্য। প্রত্যেকটি মানুষ যখন নদী সম্পৃক্ত ইতিবাচক ধারণা তেরি হয়ে যাবে তখন নদীকে দখল, দূষণের কবল থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়ে পড়বে। নদীকে যদি মানুষের কবল হতে দখল এবং দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে পারা যায় তাহলে নদীর গতি প্রকৃতির চেহারা পাল্টে যাবে। এভাবে তিতাস নদী নোঙরের হাত ধরে একদিন তার কাঙ্খিত রূপ ফিরে পাবে এবং নোঙর সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছে। টিউব বিতরণের পওে রাজঘাট তিতাস পাড়ে বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার জন্য জেলা কমিটির প্রতি আহবান করেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নী, কোষাধক্ষ শিপন কর্মকার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রফেসর মোশারফ হোসেন ভূইয়া, নির্বাহী সদস্য প্রফেসর আজিজুর রহমান, কামরুজ্জামান খান টিটু, সাইদুর রহমান জুয়েল ও নোঙর রাজঘাট ইউনিটের সকল সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক সোহেল আহাদ।