সোহেল আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রশাসন ও বিআইডবিøউটিএ কর্তৃপক্ষের জানা নেই নৌঘাটের সংখ্যা। ধূ¤্রজালে রয়েছে দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মেঘনা, তিতাস, লোয়ার, বিজনা, বুড়ি, ডাসাডিয়া/বেমালিয়া, লৌহর, লংগন বলভদ্রা,সালদা, হাওড়া, সোনাই, ঘুংঘুরসহ মোট ১২টি প্রধান নদী থাকলেও রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য শাখা খাল। জেলায় প্রায় পাঁচশতো কিলোমিটারের নদীপথ থাকলেও অধিকাংশ নদীপথে যাত্রী বা মালবাহী নৌকা চলাচল করে না। যেসব নদীপথে যাত্রীবাহী নৌকা এবং বালুবাহী/মালবাহী নৌকা/ট্রলার যাতায়াতকারী কোন বাহনেরই সংখ্যা জানা নেই বিআইডবিøউটিএ কর্তৃপক্ষের। এছাড়া জেলার ৬টি উপজেলা নদীমাত্রিক হওয়ার পরেও গোকর্ণঘাট ছাড়া সকল ঘাটই অবৈধ বলে জানিয়েছেন বিআইডবিøউটিএ কর্তৃপক্ষ। যার জন্য সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। নদী নিরাপত্তাও থেকে যাচ্ছে অনিরাপত্তায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডবিøউটিএ আশুগঞ্জ-ভৈরব নদী বন্দর শাখার নৌ পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) আমাদের কণ্ঠকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কতটি নৌঘাট আছে আমাদের জানা নেই। তবে যতগুলো ঘাট রয়েছে এর মধ্যে মাত্র গোকর্ণঘাটই বৈধ। আমরা এখন সবগুলো ঘাটকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। ঘাটগুলো অচিরেই আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়া জেলায় কতটি যাত্রীবাহী বা মালবাহী নৌকা বা ট্রলার রয়েছে তার নিবন্ধন করার চেষ্টা করছি। তিনি আরো জানান, কোন নৌকায় কতজন যাত্রী বহন করতে পারবে আমরা প্রাথমকিভাবে আনন্দবাজার ঘাট ও চম্পকনগর ঘাট থেকে নির্ধারণ করে দিচ্ছি। অতিরিক্ত যাত্রী বহনে কয়েকটি নৌকার মাঝিকে জরিমানাও করেছি। চম্পকনগর ঘাটে একশতো ত্রিশ টাকা করে ৬টি নৌকার মালিককে সাতশতো আশি টাকা ও আনন্দবাজার ঘাটে পাঁচশতো টাকা করে ৪টি নৌকার মালিককে দুই হাজার টাকাসহ মোট দুই হাজার সাতশতো আশি টাকা জরিমানা করেছি। আমরা মোট ৪৪টি যাত্রীবাহী নৌকা নিবন্ধন করতে পেরেছি। এ কার্যক্রম এখন প্রতিদিনই চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন। জরিমানা আদায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল বাকী ও বিজয়নগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আফসার সায়মা, শামীম মিয়া, নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমন শামস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নী ও নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান খাঁন টিটু প্রমূখ। উল্লেখ্য গত ২৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের লইসকার বিলে বালবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষে নারী শিশুসহ ২২ এবং গত রবিবার আরো একজনের মৃত্যুসহ মোট ২৩জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। প্রতি মরদেহ দাফনের জন্য বিশ হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।