এস এম রাজু আহমেদ
রাজধানীর কলাবাগান থানার ভুতেরগুলি এলাকায় ৫৮/এ, নর্থ রোডের আবাসিক ভবন নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এ.কে. হাউজিং লিমিটেড নামের একটি আবাসন কম্পানি ভবন নির্মাণ করছেন। এ.কে. হাউজিং লিমিটেড কোম্পানি মাটি খননের কোন নীতি মালা না মেনেই রাস্তার জায়গা খনন ও অন্যান্য জায়গায় খনন করছে। উক্ত নিয়ম বহির্ভূত খননের ফলে আশেপাশের রাস্তা ও স্থাপনা গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। রাজউক কর্তৃক অনুমোদন থাকলেও বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে পরিমিত ছাড় না দিয়ে নঁকশা বহির্ভূত ভাবে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
বিষয়টি নিয়ে এ.কে. হাউজিং লিমিটেড এর এমডি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে সাড়া দেন নাই। উক্ত প্রজেক্টটিতে ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-১৯৯৬-এর ১২ নম্বর ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী আটতলা উচ্চতার বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে ভবনের সামনে কমপক্ষে ২৫ ফুট এবং ছয়তলা উচ্চতার বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫ ফুট প্রশস্ত রাস্তা থাকা বাধ্যতামূলক। এ বিধিমালার ৮ নম্বর বিধির ৫ উপবিধি অনুযায়ী উল্লিখিত ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী সড়কের কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে চার দশমিক পাঁচ মিটার অথবা সড়কসংলগ্ন ইটের সীমানা থেকে এক দশমিক পাঁচ মিটার দূরে ভবন নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু উক্ত ভবন নির্মাণে এসবের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। রাজউকের অনুমোদিত নকশা যথাযথভাবে অনুসরণ হচ্ছে না। এর ফলে আশেপাশের ভবণ মালিকরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
তারা জানায় এই ধরনের ভ‚ঁইফোড় কোম্পানির মূল উদ্দেশ্যই ব্যবসা করা। জান-মালের নিরাপত্তা তাদের কাছে মূখ্য বিষয় নয়। অভিযোগ রয়েছে, এ.কে. হাউজিং কোম্পানিটির ভবন নির্মাণ ও বিক্রিতে কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র নেই। এছাড়াও রিহ্যাব এর কোন সদস্য পদ নেই। উল্লেখ্য প্রজেক্টটিতে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য সমৃদ্ধ কোন ধরনের সাইনবোর্ড নেই। এক প্রকার লুকোচুরি ও গোপনভাবে তড়িঘড়ি করে কাজ করা হচ্ছে।