শহিদুল ইসলাম ভাঙ্গা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই জনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার দুই দিন পর উনিশ জন ও অজ্ঞাত আরো ৮ থেকে ১০জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুন হওয়া দুইজনের একজন কামরুল মাতুব্বরের ভাই রুবেল মাতুব্বর বাদী হয়ে জামাল শেখ ও মনির হোসেন বালা কে প্রধান আসামী করে মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা।
এ ঘটনায় রুহুল আমীন (৬৫) নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীরা হচ্ছে- কুটি মিয়া, জামাল শেখ, মনির হোসেন বালা, নুরুল মাতুব্বর, হারুন আর রশিদ, এসকেন মাতুবাবর, আবুল খায়ের, আলতাব, মদ্দি মতুব্বর, কামাল শেখ, আজিজুল শরীফ, দলনেতা জামালের বাবা রুহুল আমীন, হারুন, সুমন শেখ, আলী মিয়া, আবু কালাম তালুকদার, শাহীন চৌধুরী, সাব্বির বেপারী, আক্তার হোসেন ও অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন।মামলা সূত্রে জানাযায়, আসামীদের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব হইতে দলাদলি বিদ্যমান ছিল। তারা সব সময় ক্ষতির চেষ্টায় ছিল। আসামীরা বড়ই ক্ষমতাবান। তারা এলাকায় চুরি,ডাকাতি, নারী ও মাদক ব্যবসায় লিপ্ত।
বাধাঁ দিলেই মারপিট ও কুপিয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার সময় স্থানীয় পোদ্দার বাজার থেকে আমিনুলের মোটসাইকেলে কামরুল, সলেমানসহ ওরা তিন জন বাড়ী উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়া গ্রামের হারেজ মাতুব্বরের বাড়ীর সামনে আসলে আসামীরা ছোরা. চাইনিজ কুড়াল,ড্যাগার, চাকু, চাপাডি, রামদা, ছেন, দাও, লাঠি, কাতরা নিয়া ১৯জন আসামীসহ আরো অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে খুন করার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেল গতিরোধ করার জন্য ব্যারিকেট সৃষ্টি করে।চালক আমিনুল টের পেয়ে দ্রুত চালিয়ে যেতে চেষ্ট করে। এর মধ্যে পিছন থেকে কামরুল ও সলেমানকে আসামীরা টেনে নামিয়ে আসামী কুটি মিয়ার হুকুম পাইয়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপাতে থাকে।
তখন সলেমান ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং কামরুলের ঘাড়ে ও পেটে কোপ লেগে নাটিভুড়ি বের হওয়া অবস্থায় ওকে ও আমিনুর মোটরসাইকেল গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে কামরুল মাতুব্বরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে মানিকগঞ্জ এলাকায় গাড়িতেই তিনি মারা যান। চালক আমিনুলকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা বলেন, জান্দি গ্রামে আধিপত্য নিয়ে দুই জন খুনের ঘটনায় দুই জনের লাশ ময়না তদন্ত শেষে দাফন করেছেন। নিহতের আত্মীয়রা দুইদিন পর শনিবার একটু সুস্থ্য হয়ে দুপুরে ইজাহার দিয়েছেন সাথে সাথেই আমরা মামলা রুজু করেছি। তবে আসামী যে দলেরই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।