ভাঙ্গুড়া, পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুঁইবিল সুইচ গেট দিয়ে বিল অঞ্চলের বোরো ধান প্রকল্পে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে ৪ হাজার হেক্টর জমির পাকা ধান তলিয়ে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের ভিতর পানি ঢুকে পড়াতে কৃষকরা ধান কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিছু সংখ্যক কৃষক পানির মধ্যেই ধান কাটতে শুরু করেছে। কোমর পানির মধ্যে পলিথিনের নৌকায় বোরো ধান পরিবহন করতে দেখা যায়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, এখানে গেটম্যান না থাকায় ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দিন দিন সুইচ গেইটটি অনেকটাই অকেজো হয়ে পড়েছে। নতুন করে সুইচ গেট নির্মাণের জন্য দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলার পুঁইবিল কৈচারকোনা বোরো স্কীমের মালিক বকুল সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় স্থানীয় গুমানি নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সুইচগেটের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রকল্পের ভিতরে পানি যাচ্ছে। এরই মধ্যে শতাধিক বিঘা জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ও শনিবারে পানি প্রবেশের গতি আরো বেড়ে গেছে।
পুঁইবিল গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, একদিনে গুমানি নদীর পানি প্রায় দুই হাত বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের মধ্যে সুচগেটের পুরানো দরজা ভেঙ্গে গেলে ইরি-বোরো প্রকল্প সয়লাব হয়ে যাবে। উপজেলার তারাপুর গ্রামের কৃষক ওবায়দুল হাসান বলেন, খাওয়াসহ একজন শ্রমিককে ৮শ টাকা দিন দিয়েও প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের অভ্যন্তরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিল অঞ্চলের দিলপাশার ইউনিয়ন ও খানমরিচ ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান পেকে রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক বলেন, ওই প্রকল্পের শতকরা ত্রিশভাগ ধান কাটা হয়েছে, অবশিষ্ট জমির ধানও পেকে গেছে। তাই আকষ্মিক বন্যায় আমরাও হতাশ হয়ে পড়েছি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুইচগেটের দরজা বন্ধ থাকায় ওটা নিয়ে আমরা ভাবিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগ ও পাউবোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।