এম রহমান মামুন ভালুকা,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ভালুকার ধীতপুর ইউনিয়নের,২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জান্নাত মিয়া।কঠিন রোগে আক্রান্ত জান্নাতের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ভালুকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন। জানা যায় জান্নাত মিয়া একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন।চাকুরীরত অবস্থায় তার হাতের আংগুলে সমস্যা দেখা দেয়।হাতের আংগুলে কোন শক্তি পেত না।কিছুদিন পর তার সারা শরীরে খিচুনি দেখা দেওয়ায় চাকুরির ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়।কিন্তু সঠিক ভাবে রোগ নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে অনেক টাকার প্রয়োজন।যাহা একজন হতদরিদ্র পিতার পক্ষে বহন করা খুবই কষ্টকর। এপেক্স ক্লাব ভালুকার পক্ষ থেকে,ক্লাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট এপেক্সিয়ান মো,মোকছেদুর রহমান মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জান্নাতের চিকিৎসার জন্য, সবার সহযোগিতা চেয়ে পোষ্ট করলে ভালুকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুনের নজরে আসেন।পরে তিনি জান্নাতের বাবা কে ডেকে এনে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং জান্নাতের সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।জান্নাত এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে ভর্তি আছেন।
উল্লেখ্য যে এপেক্স ক্লাব ভালুকার সদস্য ও ক্লাবের বাহিরে ও অনেকে জান্নাতের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে জান্নাতের বাবা আজিজুল হক বলেন,ভালুকার ইউএনও স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।আমি একজন দিনমজুর, ছেলের চিকিৎসা করানোর মত টাকা আমার কাছে নাই। এখন আমার ছেলের চিকিৎসা আর সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।জান্নাতের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।ইউএনও স্যার জান্নাতের চিকিৎসার দায়িত্ব না নিলে, আমার পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হতনা।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন বলেন, সকলের তরে সকলে আমরা ‘প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানতে পারি। যা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হই।অসুস্থ জান্নাতকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। শ্রদ্ধেয় জেলা প্রশাসক স্যারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। স্যার আমাকে জান্নাতের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে বলেছেন। একই সাথে এপেক্স ক্লাব ভালুকার ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মামুন কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জান্নাতকে শুরু থেকে অদ্যাবধি দেখভাল করা এবং হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য।