শাহিন চৌধুরী : ভোজ্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখি। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে দিশেহারা। কয়েকটি ব্যতীত প্রতিটি পণ্যই কিনতে হচ্ছে চড়া মূল্যে। খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম সরকার নির্ধারিত করে দিলেও লিটার প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বেশি ১৫৬ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ও ডিমের বাজারে আগুন। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিলো ১৫০-১৫৫ টাকা কেজিতে, লাল খাসি মুরগি কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। মূশুরির ডাল কেজি ১০০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা। বর্তমানে খুচরা বাজারে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০/৫৫ টাকা কেজি দরে। রসূন ১০০ থেকে ১১০ টাকা,আদা ৯৫-১০০টাকায়। আর কাঁচা সবজীর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকহারে।
টমেটো ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে,কাচা মরিচ ২০০-২৪০ টাকা। ঢেড়স পটল,করল্লা,কাকরোল,বেগুন কোন কিছুই বাদ নেই সব ধরনের সবজী ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের উপর দোষ দিচ্ছেন। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা দুষছেন আমদানিকারকদের, ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম সামান্য বাড়লেই খুচরা ব্যবসায়ীরা তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়, আমদানিতে যতটুকু বৃদ্ধি পায় খুচরা পর্যায়ে তা কয়েকগুন বেড়ে যায়। আমদানিকারকদের অভীযোগ দেশীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বিদেশি পণ্য দেশে আসতে আসতে ট্রান্সপোর্ট খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
তবে কাঁচা সবজির দাম বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে কিছু ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিশেষ করে উত্তর বঙ্গ থেকে কাঁচা সবজির ট্রাক ঢাকায় আসতে পরিবহণ খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই স্বাভাবিক কারনেই অনেক বেশি দামে সবজি বিকি্রৃ করতে হচ্ছে। দিনাজপুরে ৫ টাকা কেজির সবজি ঢাকায় ২৫-৩০ টাকা বিক্রি করতে হয়। অতিরিক্ত দামের বেশিটাই খরচ হয় পরিবহনের কারনে। রাজধানীর কিছু বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা আড়ত থেকে চড়াও মূল্যে কিনি বলেই চড়া মূল্যে বিক্রি করি ।
পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি কিভাবে রোধ করা যায় জানতে চাইলে মানবাধিকার কর্মী ফারুক আহমেদ রবীন বলেন,নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি মুনাফালোভী চক্র। এ সিন্ডিকেড কারা তা সবাই জানে। সংশ্লিষ্টদের উচিৎ এই অসাধু সিন্ডিকেড খুঁজে তাদের দ্রæত আইনের কাছে সোপর্দ করা। সিন্ডিকেড ভাঙতে পারলেই সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে।