এজাজ চৌধুরী, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কাকড়াবুনিয়া রাজেশ স্মরনী (আর এস) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্ণিতা নামে নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর একেএম আবুল খায়েরকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি রহস্যজনক কারনে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করে ওই শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নেয়।একপর্যায়ে এ ধরনের অপরাধ আর করবেনা মর্মে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মাসুদ রানার নিকট থেকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গিকারনামা নিয়ে দায়সারাভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে।
জানা গেছে, শিক্ষা অফিসার মীর একেএম আবুল খায়েরের দায়সারা তদন্তে পার পেয়ে শিক্ষক মাসুদ রানা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে সে হুমকি প্রদান করে।গত ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) স্কুলে গিয়ে বর্ণিতা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমান রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষযুক্ত পানি পান করায় এ অবস্থা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেছে।
মীর একেএম আবুল খায়ের শিক্ষা অফিসার হিসেবে মঠবাড়িয়া ও ইন্দুরকানি উপজেলায় (অতিরিক্ত) কর্মরত থাকা অবস্থায় অনিয়ম ও দুর্নীতিতে বরিশাল বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমানের নিকট থেকে ফাইল আটকিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।অদ্যবধি পর্যন্ত ফাইল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অগ্রগামী করতে না পারলেও ঘুষের টাকা ফেরত দেননি তিনি।এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে ইন্দুরকানি উপজেলায়ও।এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের বরাদ্দ নিয়েও নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বর্তমানে তিনি বদলির তদবির করছেন বলে জানা গেছে। তার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত যাতে বদলি হতে না পারে সেজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
