স্টাফ রিপোর্টার, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক পল্লী চিকিৎসক পরিবারকে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পল্লী চিকিৎসক নাসির উদ্দিন ফকির (৫৫) গতকাল বুধবার দুপুরে লিখিতভাবে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। নাসির উদ্দিন উপজেলার পশ্চিম পাতাকাটা গ্রামের মৃত. মফিজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাসির উদ্দিন ফকির ১৯৯৬ সালে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য জয়নাল ফরাজীর শ্যালক কবির সরদার এর নিকট থেকে জমি ফেরৎ দেয়ার শর্তে রেজিট্রি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেন। তিনি বিদেশ থেকে ফিরে ওই টাকা দিয়ে জমি ফেরৎ চাইলে কালক্ষেপন করতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শালিশ ব্যবস্থা করে তার পক্ষে লিখিত রায় প্রদান করেন। এর পরেও জমি ফেরৎ না দিলে তিনি আদালতে দেওয়ানী (৯৭/১৬) মামলা করেন। ওই দলীলে ৩৯ শতাংশ জমি থাকলেও পুরো ৭৩ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করিয়া নেয়। এঘটনায় তার মেয়ে আদলাতে ধান কাঁটা (৪৫/২০নং ) মামলা করেন। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে ওই কবির সরদারের মেয়ে শামসুন নাহার আইনজীবি হবার সুবাদে তিনি (নাসির উদ্দিন ফকির) সহ তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ঢাকা ঢাকা বিজ্ঞ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা ছিনতাই (১৫৭৬/২০) মামলা করেন। এ মামলায় আমাদের ১৫ দিন জেল খাটতে হয়। ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন ফকির ক্ষোভের সাথে বলেন, আমার গ্রামের সহজ-সরল মানুষ অথচ আমাদের নামে গায়েবী মামলা করলে! আদালতে আমার দায়ের করা মামলায় হেড়ে যাবে ভেবে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে জয়নাল ফরাজী তার ভাতিজা শাহাদাৎ ফরাজী ও প্রতিবেশী সাইদুল ফকিরকে বাদী করে আমার ও আমার দুই ছেলের নামে আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজি (৪০০/২১) ও ভিত্তিহীন পৃথক দুটি মামলা করায়।
আমাকে অর্থনৈতিকভাবে আরও ক্ষতি করার জন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আমার দোকানটি চুরি করে। এ ঘটনায় জয়নাল ফরাজী বাহীনীর বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। জয়নাল ফরাজী উপজেলার পশ্চিম পাতাকাটা গ্রামের মৃত. মৃতঃ করিম ফরাজী ছেলে। তিনি (নাসির উদ্দিন ফকির) মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। জয়নাল ফরাজী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।