এইচ এম জালাল আহমেদ
আলোচনার তথ্য খোঁজতে বেরিয়েছে দায়িত্বে অনীহা অবহেলাসহ অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তারের ঘটনা। তথ্য রয়েছে ফুটপাতের হকারদের বানিজ্যে ভাগবাটোয়ারার প্রতিযোগীতার নোংরামি। রয়েছে পেশাদারিত্বের নামে নোংরামি এবং রুচিহীন কর্মকান্ড। এ সব নিয়ে কয়েকদিন আলোচনা চালিয়েছে দৈনিক আমাদের কণ্ঠ। আলোচনাটি শেষ করেও শেষ করা যায়নি। জানার চেষ্টা করছিলাম একটা বিষয়ে। জানতে গিয়ে বেড়িয়েছে অনেক তথ্য যা বাস্তব। এ সব ঘটনা সাধারণভাবেই চোখের সামনে ভেসে ওঠবে। দেখা যাবে নিজ চোখে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) প্যাট্রোল ও প্যাট্রোল পুলিশ পরিদর্শকদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক দায়িত্ববোধের কাজ। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কতিপয়েল কর্মকান্ডে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে আসলে তাদের কাজ কি? যেভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করছেন সেভাবে করলে তাদের রাষ্ট্রের কোন প্রয়োজন রয়েছে কিনা? এ সব প্রশ্ন ওঠছে সরেজমিনে জানতে গিয়ে। ডিএমপির ফাড়ি ও বক্স পুলিশের কাজ এবং ভাসমান ব্যবসায়ী বা ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা চিরাচরিত হকার সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বেড়িয়ে আসছে এসি প্যাট্রোল ও পুলিশ পরিদর্শক প্যাট্রোলের ভ‚মিকা। কতিপয়ের দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্য পালনের নমুনা সাদা চোখে যা দেখা গেছে তাতে পোষ্ট দু’টোর কোন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করার কোন কারন নেই। খামাক্কা ফুটপাতের হকারদের ব্যায়ের খাতটি বাড়ানো হয়েছে বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে।
যদিও আলোচনাটি ফুটপাত দখলে নিয়ে ব্যবসায় সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়টি। সাধারণ ভাবে সবার মুখে মুখে আলোচনায় আসছে ফুটপাত দখল করে হকাররা এবং তাদের থেকে স্থানীয় ফাড়ি বক্সের দায়িত্বরত পুলিশ নির্ধারিত হারে অর্থ নিয়ে ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছে ফাড়ি বক্সের আইসিরা। আসলে তা নয়। সব দোষ তাদের হলেও হকার থেকে নির্ধারিত হরে অর্থ তুলে ভাগবাটোয়া করে নিচ্ছে। এ টাকার ভাগ কোন পেশা শ্রেণীর কোন পয্যায়ের ব্যক্তিরা নিচ্ছেন না? সব পেশা শ্রেণীর কেউ না কেউ ভাগের টাকা বুঝে নিচ্ছেন। এ ভাগ থেকে এসি প্যাট্রোল, পিআই, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ও অপারেশন পিছিয়ে থাকতে রাজী নন। তারাও কোমড়ে ঘামছা বেধে নেমেছেন লড়াইয়ে। তাদের প্রত্যেকের পৃথক পৃথক প্রতিনিধি নিয়োজিত রয়েছে। ক্যাসিনো খেলার মতো বিনা পুঁজির আর্থিক আয়ের খাতটি কেউ হারাতে চান না। অবশ্য হারাতে দেননি। বরং তাদের প্রাপ্যের চেয়ে প্রাপ্তি বেশীই থাকে। সে জন্য যে কাজটি করছে তা খুবই নোংরামি মনে হয়। তাদের সাথে যুক্ত থাকে নানা পেশার বিভিন্ন পরিচয়ের প্রতিনিধিরা। সরেজমিনে জানলে এবং দেখলে পরিস্কারভাবে দেখা ও জানা যাবে ক্যাসিনো খেলার মত অনৈতিক আর্থিক এ খাতটি। ডিএমপি কর্তৃপক্ষ চাইলে বিষয়টি জেনে এবং দেখে নিলে নিতেই পারেন। নেয়া প্রয়োজন ও জরুরি।
যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো ডিএমপি কর্তৃপক্ষ জেনে এবং দেখে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নিবেন কি নিবেন না তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে গরি¦ত পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষায় এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে সচেতন নাগরিকরা মনে করেন। অবশ্য কতিপয়ের আচার আচরন দেখলে মনে করার কোন সুযোগ নেই যে তাদের কোন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। কয়েক স্থানে দেখা গেছে পিআই ও এসি প্যাট্রোল শুধু টি শার্ট পড়ে আসেন আর যান। তাদের দেখলে মনে করার কোন সুযোগ নেই যে তারা পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেন। যদিও পদাধিকার বলে একটা কক্ষ ব্যবহার করেন এবং সেখানে নেইম প্লেট রয়েছে। নির্ধারিত একটা সময় আসেন এবং ক্ষণিকের জন্য সেখানে বসেন। তারা যতক্ষণ বসেন ততক্ষণ তাদের কক্ষে নানা বয়সের কিছু সাধারণ নাগরিক আসেন কেউ আড়ালে আবডালে কথা বলে চলে যান। যারা গাড়ী নিয়ে আসেন তারা অবশ্য কিছুক্ষণ বসেন এবং ভালো মন্দ কিছু খান এবং প্রজেক্ট নিয়ে কথা বলে। কারন তারা সবাই অর্থশালী ব্যক্তি। এক কথায় বলা যায় জমিদার পরিবারের লোক তারা। রাজধানীর মত নগরীতে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রজেক্ট হাতে নেয়া জমিদার না হলে কি সম্ভব? তারা তাই। শুধু তাই নয়, তারা বারবার মিশন খাটা মানুষ বৈধ অর্থের রয়েছে ছড়াছড়ি।
প্রশংসা করতেই হয় তাদের। সত্যিই পুলিশের পরিদর্শক পদে চাকরি করা এবং সে পদের পোশাক পড়া আসলেই অর্থের সাথে মানায় না। তবে নামেমাত্র অফিসে আসাটা ভাগের অংশটা কে ছাড়ে তাই। পেশায় যখন নতুন ছিলাম এবং রিপোর্টার হিসেবে নানা গণমাধ্যমে চাকরি করতাম তখন পেশাদারিত্বের কারনে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের সাথে খুব কাছাকাছি মেলার সুযোগ হয়েছিল। অবশ্য অনেক কর্মকর্তা ছিলেন যারা একদিন না দেখলে অনেকের কাছে ফোন করে খবর নিতেন দেখছেন কিনা। এমন কি অফিসে ফোন করে কুশালাধি জানতেন এবং এক কাপ চা পানের দাওয়াত দিতেন। তখন মোবাইলের যুগছিলনা বলে এভাবেই যোগাযোগ রক্ষা করা হতো। যাই হোক তা কোন প্রসজ্ঞ নয়। যাদের নিয়ে আলোচনা করছি তারা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখেন। কারন তারা যেভাবে ফ্রিস্টাইলে পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন সেভাবে একটি পুলিশের মত সুশৃঙ্খর বাহিনীতে চাকরি করা মোটেই সম্ভব নয় বলে অভিজ্ঞজনরা মনে করেন। তাদের চলাফেরা দেখলে মনে হয় যেন এটা তাদের একটা বিনোদনের স্থান। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্কটা সেভাবে রক্ষাকরেন বেতার ওয়ার্লেস এবং মোবাইল ফোনে সেরে নেন। এটাই তাদের দায়িত্ব পালন বলে মনে করা ছাড়া বিকল্প কোন সুযোগ নেই।
অবশ্য এ বিষয়টি সবার জন্য নয় যেমনটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ডিএমপির বিমানবন্দর ও উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার পিআই একজন ভালো মনের মানুষ ও পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে দেখলে মনে হয় পিআই পোষ্টটি রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, তার কর্মতৎপরতা প্রমাণ করে পেশা ও দায়িত্ব কর্তব্য পালনে জবাবদিহীতা রয়েছে। তার একটা চেইন অব কমান্ড রয়েছে। কিন্তু উত্তরা পশ্চিম ও তুরাগ থানা এলাকার পিআইকে দেখলে কেউ পুলিশ মনে করতে পারবেন বলে মনে হয়না। তাকে দেখলে অবশ্যই মনে করতে হবে তিনি একজন ধণঢ্য বা অর্থশালী বা জমিদার ব্যক্তি। তাকে দেখলে অবশ্যই মনে হয়ে তিনি বহুতলভবন স্থাপনের প্রজেক্ট এর একজন কর্ণধার। কারো বিরুদ্ধে সমালোচনার জন্য আলোচনা নয়। এ পার্থক্যটুকু যারা বুঝেন তাদের কাছে কি মনে হয় তা বিবেচ্য। বিষয়টি একেবারেই ক্ষুদ্র তবে পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে বলে মনে হয়না। দু’জনের কর্তব্য পালন এবং দায়িত্ববোধের পার্থক্যটাই সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে বাধে। এখানেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাবমূর্তির বিষয়টি বিদ্যমান বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। জানি না পুলিশ কর্তৃপক্ষ এগুলো কিছু মনে করেন কিনা। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক এবং পুলিশ বাহিনীর র্শঙ্খলা কম বেশী দেখে আসছি তাদের কাছে একটু দৃষ্টিতে বাধে।
শুধু যে আলোচিত দু’পিআই তা নয়। আরো অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে চিহ্নিত কয়েকটি থানার ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ও অপারেশনসহ নানা সদস্য রয়েছেন। তাদের বিদ্যমান কর্মকান্ড সম্পর্কে যতটুকু প্রকাশ পাচ্ছে তা দ্বিধাহীনভাবে বলা যায় তারা ভয়ঙ্কর পদ বেছে নিয়েছে আর্থিক লাভবান হবার জন্য। তাদের কাজগুলো একেবারেই পুলিশ বাহিনী বিধি বিধান পরিপন্থি বলে বিবেচ্য। তাদের কর্মকান্ড সাধারণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় তাদের মধ্যে ব্যাপক ঘৃণা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এ বিষয়গুলো আলোচনা করতে কিছুটা সময় এবং কথা বলা প্রয়োজন রয়েছে। তাই সম্মানিত পাঠককুল আলোচিত বিষয়টি আজ শেষ করার কথা বলছিলাম কিন্তু শেষ করেও শেষ করতে না পারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
মঙ্গলবার, মে ৩০
সংবাদ শিরোনাম
- মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের পরিচিতি ও আলোচনা সভা
- নবাবগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন
- বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে: বিজিবি মহাপরিচালক
- এরদোয়ানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন
- স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যালে শিক্ষামন্ত্রী নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি ২০২৬ সালে
- টেকনাফে ৩ লাখ ইয়াবা ইয়াবা উদ্ধার
- নৌযানের প্রথম শ্রেণির মাস্টারশিপ পরীক্ষায় ৭১ জন উওীর্ণ
- গণঅধিকার পরিষদের মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ