এইচ এম জালাল আহমেদ
বিগত দু’দিন পূর্বের চোরাই গরু উদাও এর বিষয়টির পরবর্তী আলোচনা। পূর্বে অনেক আলোচান করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, বগুড়ার ধুণট এর গরু চোর ধরা পড়ছে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানা এলাকায়। চোরাই গরু বহনে বাহন পিকআপ আটক এবং চার চোর গ্রেফতার। নেই শুধু চুরি করে আনা সাত গরু। ধুণট থানা পুলিশ সকালের সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার সংবাদ পেয়ে চোরাই গরুর মালিকসহ রায়গঞ্জ থানায় যায়। কিন্তু উদ্ধারকৃত গরু ও গ্রেফতার হওয়া চোর আনতে পারেননি তারা। হতভাগা গরুর মালিকদের থানায় ঢোকতে দেয়া হয়নি। তবে ধুণট থানা পুলিশ থানা ঢোকলেও সংবাদে প্রাপ্তি চোর ও গরু কোনটাই পাননি। সেখানে ঘটেছে নাটকীয় তথ্য। রায়গঞ্জ থানা পুলিশ সকালে গরুসহ চোর ধরার সংবাদ দিলেও তাদের বাস্তবতা পাল্টে যায়। ধুণট থানা পুলিশ কে জানিয়ে দেয়া হয়েছে তারা গরু পিকআপ কিছুই পাননি। তবে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে যাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে তারা গরু চোর। তাদের বিরুদ্ধে ধুণট থানা পুলিশ একটি গরু চুরি মামলা নিয়ে সুনারেষ্ট দেখিয়ে পুলিশ রিমান্ডে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। এ পরামর্শ দিয়ে ধুণট থানা পুলিশকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। জানা যায় এজাহরে কোথাও আটককৃত পিকআপ এর কথা উল্লেখ করা হয়নি। যদিও ধুণট থানার পুলিশের চাপাচাপিতে পরবর্তীতে পিকআপটি বের করে দিতে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ বাধ্য হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্ম সহিদুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন, গরু চোরদেরকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর ধৃতব্যক্তিরা পুলিশকে জানিয়েছে তারা বগুড়া জেলার ধুণট থানা এলাকা থেকে তিন বাড়ি থেকে ৭টি গরু চুরি করে এনে বিক্রি করে দিয়েছে। তাদের অবস্থানটি ডাকাতের মত ছিল বলে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের নানা কর্মকান্ড জানিয়ে ধুণট থানা পুলিশকে গরু চুরির ঘটনায় একটি মামলা নিয়ে জেল হাজতে পাঠানো চার গরুচোরকে পুলিশ রিমান্ডে নেবার পরামর্শ দিয়েছি। সে অনুযায়ী বগুড়া জেলার ধুণট থানা পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। বিষয়টি জানার জন্য রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সরকারী মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। বগুড়া জেলার ধুণট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শ্রী কৃষ্ণ বালা সিন্ধু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ২৫ মে সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানা পুলিশের সংবাদের ভিত্তিতে চুরি হওয়া গরুর তিন মালিকসহ চোর ও উদ্ধারকৃত গরু আনার জন্য ফোর্স অফিসার পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু রায়গঞ্জ থানায় যাবার পর সেখান থেকে আমার অফিসার জানিয়েছে চোরাই গরু ও চোর কিছুই নেই থানায়। তবে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার ডাকাতি প্রস্তুতির মামলায় চালান করে দেয়া হয়েছে আদালতে। তারা জেল হাজতে রয়েছে। ধুণট থানা পুলিশ চুরি হওয়া গরুর তিন মালিকের একজনের মাধ্যমে এজাহার নিয়ে একটি নিয়মিত গরুচুরির মামলা নিয়েছি। এব্যাপারে তদন্ত চলছে আশা করি চোরাই গরু উদ্ধার হবে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলছেন প্রথমে পিকআপ এর কথা স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে তা বের করে দেয়া হয়েছে। তার থানার মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন। সার্ভিক বিষয় নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) র বরাত দিয়ে স্থাণীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, তিনিও শোনছেন গত ২৫ মে মধ্যেরাতে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ চার গরুচোর গ্রেফতার করেছে। তারা বগুড়া জেলার ধুণট থানা এলাকা থেকে গরু চুরি করে এসেছে। রাষয়গঞ্জ থানা এলাকায় সন্দেহজনকভাবে চলাচল দেখে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। সকালে শুনছি তাদেরকে রায়গঞ্জ থানার ডাকাতি প্রস্তুতির একটি মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলছেন, আনিত অভিযোগ যদি সঠিক হয় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করছি। অপরদিকে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)র সাথে আলাপ হলে তিনি জানিয়েছেন, ধুণট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যে কথাটা বলেছে আমিও সেভাবেই শুনেছি এবং রায়গঞ্জ থানা চোর আনতে যাবার অনুমতি দিয়েছি। সত্যমিথ্যে জানিনা তবে আনিত অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। প্রকৃতপক্ষে আলোচনাটা ওখানে যেখানে বগুড়া ঝেলার ধুণট থানা পুলিশ পিকআপ, গরু ও চোর আনতে রায়গঞ্জ থানা যায়। তাদেরকে সে থানা পুলিশই যাবার জন্য সংবাদ দিয়েছিল। কিন্তু ধুণট থানা পুলিশ যাবার পূর্বে কেন গ্রেফতারকৃত চার ব্যক্তিকে তাড়াহুড়া করে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় চালান দেয়া হলো? প্রথমে পিকআপ সমএর্ক অস্বীকার করার কারন কি ছিল? একদিন পর কেন আবার পিকআপটি বের করে দেয়া হলো? গ্রেফতারকৃত চার ব্যক্তির রিমান্ড নিয়ে নানা নাটক কেন? এ সব প্রশ্নে জবাব কারো কাছে নেই। অবশ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ চেয়েছেন কিনা তাও জানা যায়নি। তবে গতকাল পর্যন্ত ভ‚ক্তভোগী তিন গরুর মালিক জানিয়েছেন তারা এখনো চোরাই যাওয়া গরুর সন্ধ্যান পাননি। আদৌ তারা গরু ফেরৎ পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রয়েছে। তাদের বক্তব্যে পরিস্কার বোঝা যায় গ্রেফতারকৃতদের দ্রæত আদালতে প্রেরণ এবং রিমান্ডে আনার বিলম্বতা অনেক কিছুর ইঙ্গিত করছে। অনেকেই ধারনা করছেন এগুলোর মুল কারন হচ্ছে চুরি করে আনা গুরুর সূত্র হারিয়ে দেয়া। অনেক কিছুই লুকানো হচ্ছে এবং চাপা পড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে এবং নিবে বলে সচেতন মহলের প্রত্যাশা।
মঙ্গলবার, মে ৩০
সংবাদ শিরোনাম
- পঞ্চমবারের মতো আইপিএল জিতলো চেন্নাই সুপার কিংস
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন
- যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক বন্দুক হামলায় নিহত ১৬
- তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে
- বিএনপি নেতা আমান-টুকুর সাজা বহাল
- সৌদি পৌঁছেছেন ৩৩ হাজার ৭৩৫ হজযাত্রী
- মাগুরায় জুয়া খেলায় আটক ৭
- আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন করল রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ