এইচ এম জালাল আহমেদ
গল্প কোন পুঁজিবাজার নয়, কাল্পনিক। তবে বাস্তবতা সে কল্পনার যথার্থরূপ ফুটে ওঠে। যেমনটি পূর্বের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সবাই যা তুচ্ছ মনে করেন আসলে অতটা খাটো করে দেখার বিষয় নয়। যতই ছোট করে দেখা হোক না কেন এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যদি সব বিষয় তুচ্ছ করে দেখে এবং এড়িয়ে যায় তাহলে ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে চরম ক্ষতি হতে পারে। তুচ্ছ থেকে তাছিল্য। সেখান থেকে ঘৃণার স্থানটি বৃদ্ধি পায়। ঘৃণা যত বাড়বে ততো ভাবমূর্তি ক্ষুণেœর আশঙ্কা দেখা দেয়। অপরদিকে ডিএমপি যদি সব কিছু তোয়াক্কাহীন মনেভাবে এগুতে থাকে তাও ভয়ঙ্কর। যে কোন সময় অঘটনে রূপ নিতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল সিলেট সহানগরে। সে অঘটনের নায়ক উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আকবর হোসেন। ডিএমপির আকবর অনেক রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে অঘটন ঘটার পূর্বেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। অবশ্য প্রয়োজনীয় ও যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ নির্ভর করছে ডিএমপি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছের ওপর। তারা যদি মনে করেন আলোচনাটা সমালোচনা। তাহলে বলার কিছু নেই। সময়ই সব যথার্থতার জবাব মিলে। যদিও তখন দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এ ক্ষেত্রেও তার বিকল্প নয়।
ডিএমপি সদর দফতর চাইলে আলোচিত আলোচনা সরেজমিনে যাচাই করে নিলে নিতেই পারে। নোংরাদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ডিএমপির বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের আইসি। তাছাড়াও কয়েকজন পিআই ও থানা পুলিশের কতিপয় পুলিশ পরিদর্শক। যাদের মধ্যে অধিকাংশ রয়েছেন থানা পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন এবং তদন্তের দায়িত্বে। একইভাবে রায়েছেন বেশ কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শকরা। তাদের প্রভাব এতটাই বেশী যে তাদের বিরুদ্ধে যথার্থ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ অনেকটা হিমসিম খাচ্ছেন। বলতে গেলে ব্যবস্থা নিতেই পারছেন না। না পারার এ অবস্থানটা জানার জন্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু ঘটনা। সেখানে রয়েছে রুচিহীনতা ও অশোভণীয় বিষয়। যা নোংরামির সাথে তুলা করা হলেও নোংরামির সব চেয়ে জগণ্যতা প্রকাশ পাচ্ছে। জানি না কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কতটা নজরে নিয়েছে। তবে নজরে নেয়া কঠিন কোন বিষয় নয়। ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই নজরে নিতে পারেন এবং ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। ব্যবস্থা তারা নিবেন কিনা তা দেখার বিষয়। যে ভাবেই নেক না কেন নোংরামিটা চেপে রাখতে পারবেন বলে মনে করার কোন সুযোগ নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)র ৫০টি থানার মধ্যে ৭ সাথার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন বাঁশের চেয়ে কঞ্চি মোটা অবস্থানে রয়েছেন। তাদের একইভাবে জড়িয়ে রয়েছেন চিহ্নিত কয়েকজন থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত। জড়িয়ে রয়েছেন পিআই হিসেবে পরিচিত কয়েকজন পুলিশ পরিদর্শক। যাদের কর্মকান্ড পুলিশ বাহিনীর বিধি পরিপন্থি। তাদের এহেন কর্মকান্ডের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারেন বলে বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন। ডিএমপি যাই করলেই বেরিয়ে আসবে বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের আইসি কিভাবে অর্থের লোভে নোংরামিতে জড়িয়ে রয়েছে। বেরিয়ে আসবে থানার পুলিশ পরিদর্শক কিভাবে অর্থের বিনিময় আর্থিক প্রতারকদের পক্ষ নিয়ে কিভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে অযথা হয়রানি করছে। শুধু তাই নয় তারা কিভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের পক্ষ নিয়ে অর্থবিনিয়োগকারীদের হয়রানী করে প্রতারকদের শক্তিযোগাচ্ছে। বেরিয়ে আসবে কিভাবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার চেয়ার বসে নিজেকে কতটা শক্তিশালী ও প্রভাবশালীতে পরিনত করছেন। তারা পারেন না এমন কোন বিষয় নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণ কাজ করছেন বা সায় দিচ্ছেন যে কোন কারনে নিকটবর্তী কর্তৃপক্ষ। এ সব ঘটনা গোপন কিছু নয়। প্রকাশ্যে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিরোধ হীনভাবে। এ ব্যাপার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া জরুরি। দিবে কি দিবেন না তা তাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তবে নজর দেয়া উচিৎ বলে অভিজ্ঞজনরা মনে করেন।
গতকালের আলোচনায় ডিএমপির বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের আইসির বিদ্যমান নোংরামির বিষয়টি নিয়ে আংশিক আলোচনা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ততায়। সরেজমিনে জানা হলে যা আলোচনা করা হয়েছে তার চেয়ে অধিক ও ভয়ঙ্কর বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আসলে বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও তার সহকারী অপর এক সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) কিভাবে নোংরামিতে জড়িয়ে নানাভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ তা সরেজমিনেই প্রমাণিত হবে। তাদের আয়ের উৎসটি একেবারেই নোংরামি। তারা যা করছেন তা জাতীয় গণমাধ্যমে তুলে ধরা দুরহ ব্যাপার। কারন সেগুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আসা কঠিন। তাদের নোংরামি নিয়ে লিখতে রুচিতে বাধে। ওগুলো কোনভাবেই শোভনীয় নয়। তবে থানা পুলিশের যারা রয়েছেন তাদের কয়েকজনের বিষয়টি পুরো আলাদা এবং ভয়ঙ্কর। তারা অর্থের বিনিময় অবৈধভাবে অর্থ উপর্জনকারীকে নিরাপত্তা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনের বেড়াজালে বেআইনিভাবে আটকিয়ে হয়রানী করার বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, নানা পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত কতিপয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার চেয়ারে বসে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এগুলো নিয়ে দৈনিক আমাদের কণ্ঠ পত্রিকার আলোচনার শেষ পর্বে থাকছে ঘটনার অংশ বিশেষ।