এইচ এম জালাল আহমেদ
কর্মের নামে অপকর্ম। ঘটে অপ্রিতিকর ঘটনা। নষ্ট হয় ভাবমূর্তি। হারিয়ে যায় গ্রহণযোগ্যতা। সব কিছুর মুলে রয়েছে তদারকির শুণ্যতা। বিশেষ করে শৃঙ্খল কোন সংগঠন বা সংস্থা বা বাহিনীতে বিদ্যমান থাকলে চরম পরিনতি ঘটে। পেশীশক্তির জোরে অনেক কিছু সম্ভব। তবে তাতে আস্থা ও বিশ্বাসারে সংকট সৃষ্টি হয়। হাজারো ভালো কর্ম দু/একটি অপকর্ম বা অঘটন সব ঢেকে দেয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আপ্রাণ চেষ্টা করছে জনবান্ধব হবার লক্ষ্যে। অবশ্য তারা দাবিও করছে প্রায় দোড়গোড়ায় পৌছতে সক্ষম হয়েছে। আসলে নয়। ডিএমপি অপরাধ পরিসংখ্যানে পেশাগত অপরাধের পরিমান ও মাত্রা কমছে বলে দাবি করছে। অবশ্য বাস্তবেও তাই। রাজধানী ঢাকায় পেশাদার অপরাধিদের সংখ্যা ও ঘটনা অনেকটা কমেছে। তবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অঘটন ও অপকর্মের ঘটনা। কিছু ঘটনার সাথে পুলিশ সদস্য জড়িত রয়ে বলে প্রমাণ মিলছে। যদিও এগুলো বিছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনা ঘটার পেছনে যে বিষয়টি জড়িয়ে পড়ছে সে বিষয়ে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি ডিএমপি। কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও কর্তৃপক্ষ পিছু হঠছে বলে প্রতিমান হচ্ছে। অনেকে ধারণা করছেন কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ডিএমপিতে বাঁশের চেয়ে কিছু সংখ্যক কঞ্চি মোটা হয়েছে। তাদের আউলাবাতাসে বাঁশের উপরের অংশ ভেঙ্গে পড়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এ্যাডিশনাল আইজিপি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বার। তিনি যথেষ্ঠ দক্ষ ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। তার সার্বিক বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার ইচ্ছের বা ব্যক্তিত্বের বাইরে কিছু কাজ করতে হচ্ছে তেমনটি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি যদি তার মেধা দিয়ে ডিএমপি সাজাতেন তাহলে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি মোটা হতে পারত না। তাদের অবৈধ প্রভাবে ডিএমপিতে নোংরামির স্থান হত না। ডিএমপি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করুক বা নাইবা করুক কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য নানাভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করছেন। তাদের সিন্ডিকেটটি আর্থিক উপর্জনের পথ বেছে নিয়েছে। তারা জড়িয়ে পড়ছে শৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর বিধি পরিপন্থি কর্মকান্ডে। বলতে গেলে নোংরামিতে নেমেছেন তারা। পেশীশক্তির কারনে তাদের নোংরামিটা প্রকাশ্য হলেও কর্তৃপক্ষ যথার্থ ব্যবস্থা নিতে না পারায় গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। তারা যদি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সামনের দিকে আরো এগুতে পারে তা হলে যথার্থতার বিলুপ্তি ঘটবে। ইতিমধ্যেই অনেকটা বিলুপ্তির পথে। তেমনটি বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা নানা যুক্তি ও উদাহরন তুলে ধরছেন।
ডিএমপির কতিপয় কর্মকর্তা ও সদস্যের নোংরামিটা ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ছে। যারা ডিএমপি কমিশনারকে চিনেন তাদের ধারনা তিনি তার পেশা জীবনের শেষ রীতিমত কর্মস্থল এটাই। তার চাকরির মেয়াদ না বাড়লে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি অবসরে যাবেন। তিনি ইচ্ছে করলে অবসরে যাবার পূর্বে অন্তত নিজের ব্যক্তিত্ব ও কতৃত্ব বিচক্ষণতার সাথে কার্যকর ভ‚মিকা রাখবেন। তিনি অবশ্যই ডিএমপিতে বেড়ে ওঠা বাঁশের মোটা কঞ্চি ঝেড়ে সমতায় নিয়ে আসবেন। ডিএমপির নানা পদের কিছু কর্মকর্তা ও সদস্য অথের্র লিপসায় নোংরামিতে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত করবেন। এ ব্যাপারে তার হস্তক্ষেপ জরুরি বলেই অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য সিন্ডিকেট তৈরি করছে তা বের করা খুবই সহজ ও সোজা। অপরাধ বিভাগ হিসেবে ডিএমপিতে আটটি বিভাগ রয়েছে। প্রত্যেক বিভাগে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তাদের আর্থিক ও পেশীশক্তি অনেক শক্তিশালীতে পরিনত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথার্থ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যদিও দুরহ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বাস্তবটা স্বীকার করবেন কিনা তা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে ডিএমপি তথা গর্বিত পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য ডিএমপি কমিশনার ইচ্ছে করলে এ শক্ত সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতেই পারেন। সিন্ডিকেটটি চিহ্নিত করা কঠিন কোন কাজ বলে মনে করার কোন সুযোগ নেই। খুব সহজভাবে দেখলে স্বচ্ছ আয়নার মতো চোখের সামনে এসে উপস্থিত হবে বাস্তবতা এবং নোংরামির পুরো চিত্রটি। কথা হচ্ছে এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার উদ্যোগ নিবেন কিনা। উদ্যোগ নেয়া না নেয়া তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে ঢাকাবাসি ও ডিএমপিসহ গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় উচিৎ বলে সচেতন মহল মনে করেন। ডিএমপি কমিশনার কেন যারা ডিএমপি নিয়ন্ত্রণ করছেন তারাও দেখতেই পারেন। ডিএমপিতে চাকরি করার লক্ষ্যে যোগদান করার পর থেকে ঘুড়েফিরে একই বিভাগে কর্মরত রয়েছে। তারা একই বিভাগে নানা পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ সুবাধে তারা স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিদের নিয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠন করেছেন। এ সিন্ডিকেটের সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের অবৈধ প্রভাব বিস্তারের সুযোগটা অনেক উপরে। তারা সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রতি হয়ে আসছেন। এ কারনে পুলিশ বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ধ্বংসের পথে।
ডিএমপির যাদের কথা আলোচনায় স্থান দেয়া হচ্ছে তারা শুধু নোংরামি কর্মকান্ডেই যড়িত নন। তাদের আর্থিক উপর্জনটি এক কথায় ভয়ঙ্কর পথ। তাদেরকে ওখান থেকে ফিরিেিয় আনার উদ্যো নেয়াও জরুরি হয়ে পড়ছে। তাদেরকে এ নোংরামি থেকে ফেরানো না হয় তাহলে পরিনতিটা চরম আকার ধারনের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। ডিএমপির পদস্থ অনেক কর্মকর্তাও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ না করার শর্তে অনেক কথাই বলছেন। তাদের ভাষায় স্পষ্ট ফুটে ওঠছে কতিপয়ের নোংরামির বিষয়টি। ডিএমপির কোন কোন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ইচ্ছে করলে তার ইচ্ছে মাফিক পোষ্টিং নিয়েছে এবং তার চাহিদামত থেকে যেতে পারছে। একইভাবে থানা ফাড়ি বক্স ও নানা জোনে এ আলোচিত সিন্ডিকেটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা দীর্ঘমেয়াদি। তারা একই ্ইউনিটে কর্মরত থাকায় পেশী ও আর্থিক শক্তির একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের ভিন্ন ইউনিটে বদলি করা খুবই দুরহ ব্যাপার। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে এ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে পুলিশ বাহিনী তথা ডিএমপিকে নতুন করে স্বচ্ছতায় ঢেলে সাজাতেই পারেন। বিষয়টি নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন। পরবর্তী আলোচনা এ বিষয়টি নিয়ে হবে এবং আপনারা চোখ রাখুন দৈনিক আমাদের কণ্ঠ পত্রিকার মন্তব্য কলামের দিকে।
শুক্রবার, জানুয়ারি ২৭
সংবাদ শিরোনাম
- বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ২১ ক্রিকেটার
- হাতের আঙুল নেই, কনুই দিয়ে লিখে সব ক্লাসে প্রথম আরাফাত
- আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস
- রাজধানীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা
- মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন চালু হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে
- পাইকগাছায় পরিবেশ বিপর্যয়কারী টালির পাঁজা উচ্ছেদ
- শিলিগুড়িতে খেলতে গিয়ে লাশ হওয়া ডাবলুর মরদেহ হস্তান্তর