এইচ এম জালাল আহমেদ :
পরীমণির ঘটনা নয়, গোপন ব্যবসায়ীদের ও দেশে পরপর তিনটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে ৯ ব্যক্তি আহত রয়েছে একজন। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ঘটনায় হত্যার শিকার হয়েছেন নারী শিশুসহ তিন ব্যক্তি করে। প্রত্যেকটি ঘটনায় একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সব হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সোজাভাবেই বলা যায় জনজীবন আতঙ্কিত হয়ে ওঠছে। সবার মাঝে একই প্রশ্ন কেন এ ত্রিপল হত্যাকান্ড পরপর ঘটছে? এ সব ঘটনা সাধারণ মানুষ শঙ্কিত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। রাষ্ট্র সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সফলতার দ্বারপ্রান্তে। তারপরও এসব হত্যাকান্ডের ধরনে বিছিন্ন ঘটনাগুলো ভাবিয়ে তোলছে। কুষ্টিয়ার হত্যাকান্ডের বিষয়টি অনেকটা পরিস্কার হয়েছে। খুনি গ্রেফতার হয়েছে। সিলেটের গোয়াইনঘাটের একই পরিবারের তিন ব্যক্তি হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু খুনি সনাক্ত ও গ্রেফতার হয়নি এখনো। এ দু’টি অঘটনের রেশ কাটতে না কাটতে রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসা থেকে বাবা মা সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের হাত পা বাধা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য। আলোচতি ঘটনা ছাড়াও হত্যাকান্ডের ঘটনা আরো ঘটছে। কিন্তু আলোচিত হত্যাকান্ড তিনটি নিয়ে জনজীবনে নানা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে। শুধু তাই নয়, জনজীবন আতঙ্কিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।আলোচনার শুরুতেই সম্মানিত পাঠককুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি নিজের ভুলের জন্য। গতকালকের আলোচনার শীরো মনি মোহাম্মদ তোফজল হোসেনের গ্রামের বাড়ি বৃহত্তর কুমিল্লা বলে আলোচিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। বিমানবন্দরে যে সংসদ সদস্যের সাথে পরিচয় ঘটেছিল তার গ্রামের বাড়ি বৃহত্তর কুশিল্লা জেলায়। ভুলবসত কম্পিউটারে টাইপের সময় মোহাম্দ তোফজ্জল হোসেনের গ্রামের বাড়ির টাইপ করা হয়নি। এ অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি সম্মানিত পাঠক কুলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। সম্মানিত পাঠক, আজ আলোচনা করার কথা ছিল পরীমণিকে নিয়ে মাতামাতি না করে, মোহাম্দ তোফজ্জল, অমি ও সাইফুলদের গোপন অপরাধ নিয়ে গণমাধ্যম মাতামাতি করুণ। তাদের এতদিনের প্রকাশ্যে গোপন ব্যবসা তুলে ধরুণ। পরীমণিদের নিয়ে লিখে কোন লাভ নেই ওরা অর্থশালীদের ভোগের পণ্য।
ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে আসা যাওয়া করে তারা ধন্য হন। পূর্ণ হয় তাদের আর্থিক প্রত্যাশা। মনিয়া চলে গেছে পরীমনিরাও চলে যাবে। আবার কোন বিশেষ প্রয়োজনে নতুন নতুন পরীমণি বা মনিয়ারা বের হয়ে আসবে গণমাধ্যমকে মাতিয়ে তোলতে। তাদের নিয়ে লিখে বা তুলে ধরে ওদের চরিত্র ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে আরো দুষিত করে তোলা হতে পারে বলে ধারনা হচ্ছে। নোংরা বিষয়গুলো জাতির ভেতর ছড়িয়ে না দেয়াই ভালো বলে প্রতীয়মান হয়। তবে ওদের মত ঘটা যাদের দ্বারা সৃষ্টি হয় তদের নেপথ্য যেন গণমাধ্য তুলে ধরে মাতামাতি করে। যদি তেমনটি হয় তাহলে নোংরাদের স্থানগুলো চিহ্নিত হবে এবং বিনাশ ঘটানো না গেলেও প্রভাবটা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। এ সব নোংরা কম্র্রে স্থান যারা তৈনি করে তারাই আবার সুস্থ সমাজকে ছবক দিয়ে থাকেন। ওদের প্রকৃত চেহারাটা জাতির সামনে গণমাধ্যম তুলে ধরলে তারা গুটিয়ে যাবে এবং সমাজে আদর্শের বাণী ছড়ানোর অজুহাতে নিজেকে পরিচিত করতে পারবেনা। গণমাধ্যমের কারনে ওদেরকে সবাই চিনতে পারবেন। চেনা থাকলে তারা আর নতুন করে কোন ফাদ জাতির মাঝে তৈরি করতে সাহস পাবে না।
আজ আলোচিত হবার কথা ছিল অমি, সাইফুলরা কিভাবে অমির বাবা মোহাম্মদ তোফজ্জল হোসেন রাজধানীর আশকোনাসহ কয়েকটি স্থানে কিভাবে প্রকাশ্যে গোপন ব্যবসা করে কোটি কোটি ও অঢেল সম্পদের মালিক বনে পৌছলেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবে প্রকাশ্যে ব্যবসা করলেও কোনদিন দেশের কোন সংস্থা জানতেই পারলেন না তাদের সব ব্যবসাগুলোই অপরাধ। তারা সমাজের র্ঘণিত ব্যক্তি। তাদের আয়ের পথটি কখনো সহজ নয়। সরল পথদিয়ে তাদের অর্থ উপর্জন হচ্ছে না। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন শাখা কর্তৃক উদ্ধারকৃত নানা বিষয় ও মালমাল প্রমান করে দেশের মাদ্রক দ্রব্য অধিদফতর, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কশিশন, রাজস্ব বিভাগের কর্তব্যরত ব্যক্তিদের দেখার কথা ছিল কিন্তু দেখেননি। তারা এ ব্যাপারে কখনো জানতেই পারেননি। অথচ এসব সংস্থার কোন কোন কর্মকর্তা অমি বা তার বাবা তোফজ্জল হোসেনের বন্ধু ছিলেন। যদি তোফজ্জল হোসেনের আলোচিত ট্রেণিং সেন্টারের কাছে স্থাপিত থাকলে সিসি ক্যামেরা যাচাই করে ধেখলে অনেকেরই ওখানে যাতায়ত করার চিত্র বেরিয়ে আসতে পারে।
পরীমণি অমি ও সাইফুল এবং তোফজ্জল হোসেনের গোপন ব্যবসা নিয়ে লিখতে বা মন্তব্য করে আলোচনাটা চালিয়ে যেতে চাইছিলাম। কিন্তু সকালবেলা অনলাইন পত্রিকাগুলো দেখতে গিয়ে চোখে পড়ে রাজধানীর কদমতলীতে হাত পা বাধা অবস্থায় মা বাবা সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পড়ে দেখলাম সংবাদটি। কিন্তু সংবাদের কোথায় বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ সহ সরেজমিনে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ঘটনাটি জানলাম। সতিই ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরন শুনে চমকে ওঠতে হয়েছে। কারন আমিও তো কারো জামাই । আমারতো শ্বশুর ম্বাশরি ছিলেন। যদিও শালি নেই। যেখানে বিয়ে করছি সে বংশে ২/৩ শ মানুষ থাকলে আমার সঙ্গীণির চেয়ে ছোট কেউ ছিল না বলে শালী ভাগ্যে জোটেনি। যাই হোক ব্যক্তিগত বষিয় না টানাই ভালো। কদমতলীতে যে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে তা জামাই কর্তৃক ঘটছে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। বিষয়টি স্বামী স্ত্রীর পরামর্শে ঘটেছে বলেই প্রকাশ পাচ্ছে। জানিনা পুলিশি তদন্তে কি পেয়েছে। পুলিশ কি পাইল কি পাইল না তা পরের ব্যাপার। এই তো কয়েকদিন পূর্বে কুষ্টিয়ায় এক সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) সৌমির একাই গুলি করে এক নারী এক শিশু ও অপর একজনকে প্রকাশ্যে রাজপথে গুলি করে হত্যা করেছে। যারা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে শিশু সন্তানসহ মা ছিলেন।
কি অদ্ভ‚ত ঘটনা সিলেটের গোয়াইনঘাটে একই পরিবারের চারজন খুনির কোপে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন নিজ বসতবাড়িতে। তাদের তিনজনই ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। একজন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দু’টো ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে খোদ রাজধানীর কদমতলীতে ঘটল ত্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনা। এ ঘটনার নেপথ্য অনেকটা ভিন্ন। জানা মতে এখানে বিদেশ ফেরৎ এক ব্যক্তির বড় মেয়ের জামাইর কর্তৃক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুপরিকল্পিতভাবে শ্বশুর, ম্বাশুরি ও শালীকে নিজ স্ত্রী মানে নিহতদের মেয়ে ও বোন দিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়াইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। অবশ্য এ ঘুমের ওষুধ নিজ শিশু সন্তানকেও খানো হয়েছে। এ সন্তানকে জিম্মি করে স্ত্রীকে দিয়ে মা বাবা বোনকে হত্যা করতে বাধ্য করছেন। যাই হোক এসব বিষয় আইন দৃষ্টিতে নিয়েছে এবং তারা তদন্ত করছেন। তদন্ত পরবর্তীতে কি প্রকাশ ঘটে তা সময় বলে দিবে। এ নিয়ে আলোচনার বিষয় হচ্ছে হত্যাকান্ড কোন অপরাধ নয় এটা মহাপাপ। অপরাধের উর্ধ্বে। হত্যাকান্ড কাউকে বলে কয়ে সংঘটিত করে না। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে খুনের ধরন এবং পরিস্থিতিসহ পরিবেশটা। যে হারে এবং যে অবস্থায় হত্যাকান্ডগুলো ঘটছে তা সাদা চোখে দেখলে এবং পক্ষপাতিত্বহীনভাবে দেখলে পরিস্কার ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা নেয়া যায়।
বিশেষ করে এসব ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ পাবার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। ব্যাপক ভাবে ফুটপাতে চায়ের দোকনে বাসে লঞ্চে সমান ভাবে সমালোচিত হয়। শুধু তাই নয় আলোচনায় অংশ যারা নেন তারা ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করলেও যারা শোনেন তাদের সংখ্যা অধিক এবং তাদের মুখ থেকে আশঙ্কা, শঙ্কা ও আতঙ্কিত বিষয়টি পরিস্কারভাবে ফুটে ওঠে। যারা কালোগøাসের বদ্ধগাড়িতে চলাফেরা করেন এবং এসি কক্ষে বসে দফতর পরিচালনা করেন তারা সমগ্রদেশের সাধারণ মানুষের আলোচনা সমালোচনা ক্ষোভ ও মনোভাব জানবেন কি করে? বদ্ধঘরে না থেকে খোলা আকাশের দিকে বেরিয়ে এসে নিজ কানে শুনে যান সাধারণ মানুষ কি বলছেন এবং তারা কতটা আতঙ্কে রয়েছেন। পরপর দেশের পৃথক তিনটি স্থানে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটানায় ৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছে এবং এক ব্যক্তি আহত রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন ইস্যু ও মাধ্যমে হত্যাকান্ডগুলো ঘটলেও সংখ্যায় কোন পার্থক্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়টি সত্যি চমকে দিচ্ছে। মনের শঙ্কাটা বাড়িয়ে তুলছে। জানি না রাষ্ট্র ও সরকার বিষয়গুলো কিভাবে দেখবে। তবে যথার্থ পদক্ষেপ নিবে বলে জাতি প্রত্যাশা করছে। দেশের সচেতন মহলও তাই ভাবছেন।