এইচ এম জালাল আহমেদ
কথিত চিত্রনায়ীকা পরীমণিকে নিয়ে হৈ ছে কম হয়নি। অনেক হয়েছে। তার পরিচিতির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হয়েছে। বিগত দিণে তাকে নিয়ে অনেকা আলোচনা করেছি। সে সব আলোচনায় অনেক কথা বলছি। এখানে সেব কথা পুনরায় বলার প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। আসলে যতোটা আলোচনা হচ্ছে ততোটা গুরুত্বেও সালো আলোচিত হবার পরিমাপও তার মধ্যে নেই। তাকে নিয়ে হৈ ছে করার কিছু নেই। তারপর দেখছি আমাদের কথিত গণমাধ্য বেশ একটা গুরুত্ব দিয়ে একাধিক সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করছে। পরীমণি কোথায় যায় কি করছে কেমন রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যম বেশ একটা ব্যস্ত সময় পার করছে কিন্তু পরীমণিদেও অন্তরালে যে অমি সাইফুলরা গাভাসিয়ে টাকার পাহার বানিয়েছে নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে সে দিকে কারো খবর নেই। সে সংবাদ গণমাধ্যমে স্থান নেই। কি অদ্ভুত আমরা। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার কতটা সফল তা নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করতেছিলাম ঠিক সে আলোচনার মধ্যেই রাজধানীতে আবিস্কার হয়েছে নোংরামি এক ঘটনার মাধ্যমে এ পরীমণির ঘটনা। তিনি নাকি চিত্রনায়ীকা। চলচিত্রে নাকি অভিনয় করেন। আসলে বিগত প্রায় দু’যুগ ধরে কখনো হলে বা টিভির পরদায় সিনেমা দেখিনা এবং দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তাই কোন নায়ক নায়ীকা এখন আর চিনি না। যারা এখন রয়েছেন তাদেরকে চিনতে হবে তেমনটিও নয়। কারন অভিনয় কতটা ভালো মন্দ তা নিয়ে কিছু বলব না। তবে কতিপয় নায়ক নায়ীকা পরিচয় দিয়ে চলেন বা পরিচিতি লাভ করছেন তাদের কারো কারো নানা বিষয় জানার পর তাদের চেনার রুচিটাও থাকে না। ঠিক তেমনটি নেই আলোচিত সমালোচিত চিত্র নায়ীকা পরিচয়ের উদঘাটিত নোংরা ঘটনার নতুন পরিচয়ের নায়ীকা পরীমণির নাম জানলাম এবং তার ছবি গণমাধ্যমে দেখলাম। লেখার জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছিলমা। নানা ঘটনা জানার পর তাকে নিয়ে লেখার রুচিটা হারিয়ে ফেলছি। যদিও আমি অতো নামিদামি আলোচক নই। তারপরও আমার রুচিতে বাধে তাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনা লিখতে। তাকে নিয়ে কোন মন্তব্য করে কোন আলোচনাও করব না। তবে তার ঘটনার মাধ্যমে যে সব নোংরাদের নানা অপরাধ নোংরামির কাহিনী প্রকাশ পাচ্ছে তার কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা না করলে পেশার সাথে প্রতারনার সামিল হবে।এ কথাগুলো পূর্বে এক আলোচনায় তুলে ধরে বলছিলাম কিছু ঘটনা নিয়ে আজকের আলোচনা করে মন্তব্য করার চেষ্টা করছি।
সম্মানিত পাঠককুল পূর্বের আলোচেনায় যেমন বলছিলাম, আলোচনার শুরুতে সবিনয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, এ জন্য যে, নোংরা ও অপরাধের সাথে জড়িতদের নিয়ে লিখলে এবং আলোচনার লেখনির মধ্যে ছন্দ বা ভাবের কোন ব্যতিক্রম হতে পারে এবং কোন কোন বিষয় কারো পছন্দের বাইরের হতে পারে। যেমনটি আলোচনার শুরুতেই পরীমণির ঘটনাটি নোংরা হিসেবে অভিহিত করেছি। কারন পুরো ঘটনাটিই নোংরামিতে ভরপুর বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। বোঝার ভুল যাতে না ঘটে সে জন্য আবারো বলছি কোন ব্যক্তিকে আমি নোংরা বলছি না। ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পুরো নোংরামি বলে আমার কাছে প্রতিয়মান হচ্ছে। যদি আমি ধরে নেই পরীমণি একজন প্রতিষ্ঠিত নায়ীকা। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং অন্যান্যরাও নানা পরিচয়ের সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের পরিচিতিকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ঘটনার সময়টি ছিল গভীর রাত। সে সময় যদি নারী পুরুষের মধ্যে কোন অঘটন ঘটে নোংরা কোন বিষয় নিয়ে তাহলে কি সে ঘটনাকে নোংরা বলা হলে ভুল হবে? আমার তো মনে হয় নোংরার চেয়ে কোন তুচ্ছের কোন শব্দ জানা থাকলে সে শব্দ ব্যবহার করা বাঞ্ছণীয়।
আলোচনায় পরীমণি বা নাসির উদ্দিনকে নিয়ে করতে চাইনা বা তা ভিন্ন আলোচনায় বলার চেষ্টা করব। এখানে আলোচনায় স্থান দিতে চাই আলোচিত তুহিন সিদ্দিকী অমি কে তার পরিচয় কি এবং তার সাজ্ঞপাজ্ঞ কারা তাদের কাজ কি? আজকেও প্রশ্ন নয় আলোচিত অমি ও তার দোসরদেরে দখল দেখে অণেক অবৈধ মালাশাল ও নানা অপরাধের ফিরিস্থি পেয়েছে পুলিশ। তাদের আরো অজানা অপরাধের সিরিজ রয়েছে রাজধানীর আশকোনাসহ নানা স্থানে। তেমনটিই বলছেন এলাকার নানাজনে। অবশ্য অমির বাবা মোহাম্মদ তোফজ্জল হোসেন অমির ব্যবসায় কতটা জড়িত এবং তাদেও সাথে কারা রয়েছে জড়িয়ে। নানা পেশার বিভিন্ন পদেও ব্যক্তিদের কেমন সম্পর্ক ছিল সে বিষয় স্থান পাচ্ছে না আমাদেও কথিত গণমাধ্যমে। শুধু পরীমণিকে নিয়ে হৈ ছে। তাকে নিয়ে হৈ চৈ কেন? তিনি যেভাবেই বলার চেষ্টা করুকনা কেন তার কাছে কোন যৌক্তি যুক্তি নেই তার সীমাহীন অর্থ ও বিলাশবহুল চলাফেরার কোন বৈধ আয়েল পথ দেখানো। সেদিও রাতে যা ঘটছে এবং প্রকাশ পাচ্ছে তাতে কোনভাবে যর্থাথ মনে হয় না। সেখানে পরীমণিকে কেউ জোর করেও আনছে বলে ধারনা করার কোন সূযোগ নেই। তাতে এটাই বলা যায় তিনিও যে কোন অপরাধ চক্রে জড়িয়ে নেই তা বলা যাবেনা । তার কোন অপরাধের প্রমাণ মিললে পুলিশ বা রাষ্ট্র মামলা নিবে এবং আইনি ব্যবস্থা নিবে। এটা নিয়ে অত মাতামাতির কোন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করার কিছু নেই।
কয়েকদিন পূর্বে আলোচনায় বলেছিলাম, আলোচিত তুহিন সিদ্দিকী অমি একজন মানবপাচারের দালালের সন্তান। লেখাপড়া কতটা তিনি করেছেন তা জানা নেই। তবে তার বাবা মোহাম্মদ তোফজ্জল হোসেন বিদেশ ফেরৎ একজন শ্রমিক। তার ব্যবসার অনুসারী অমি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন। যদিও তারা টাঙ্গাইল জেলার এক মুসলিম পরিবারের নাগরিক। আশির দশকের মাঝামাঝি বি বাড়িয়ার তৎকালীন এক সংসদ সদস্যের বদৌলতে বিমানবন্দর এলাকায় নানা উপরি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকে এক ডলি নামের নারীর হাত ধরে বিমানবন্দ হল কেন্টিনে মদ বিয়ার বেচাকেনার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছিলেন। এ তোফজ্জল সে সময় নানা কারনে কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সে ব্যবসা থেকে নানা দেশে মানবপাচারের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তোফজ্জল। সে ব্যবসা থেকে আজো বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। তার ব্যবসার পুরোটাই বর্তমানে দেখবাল করে আসছেন অমিও সাইফুল আরো কয়েকজন। মোহাম্মদ তোফজ্ঝল হোসেনের ক্যাশিয়ার ও ম্যানেজার হচ্ছেন জনৈকি হাফেজ সাইফুল ইসলাম। তারা রাজধানীর আশকোনায় সবার চোখের সামনে অবৈধ ব্যবসার ট্রেনিং সেন্টার খুলে প্রকাশ্যে ব্যবসা করে আসছে কয়েক বছর যাবৎ। বাপ বেটার সাথে কথিত ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার হাফেজ সাইফুল ইসলাম তার সহকর্মীদের নিয়ে অবাধ ব্যবসা চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আশকোনার মত স্থানে একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট ও বহুতলভবন স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। আরোচনা প্রকাশিত হবার একদিন পর তাদেও আস্তানায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র মদ মাদক ও শত শত পাসর্পোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে বিষয়ে দক্ষিণখান থানায় একাধিক মামলাও হয়েছে। এ সব অপরাধী চক্রের বিষয়টি এড়ানোর জন্য কি পরীমণির জিকির চলছে কিনা সে বিষয়টি গণমাধ্যমকে হিসেব মিলাতে হবে। মিলানো জরুরী এবং হিসেব মিলানো উচিৎ বলে মনে করি। পরীমণিকে নিয়ে হৈ চৈ কওে লাভ নেই। তার অপরাধ যতটুকু তা আইনের আওতায় নেয়াই যথেষ্ট। কিন্তু বড় একটি অপরাধী চক্রের অবৈধ ব্যবসার সন্ধ্যান মিলিয়েছে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী। এ বিষয়টির ওপর আমাদেও গণমাধ্যমের উচিত নজর রাখা। নইলে এ অমিদেও থেকে রাষ্ট্রের কতিয় দায়িত্ববান কর্মকর্তা ও সদস্য কর্তব্য পালনের নামে আখের গুচিয়েছে তারা থেকে যাবে অধরায়। অপরদিকে অপরাধী চক্রটি পাশ কেটে রক্ষাপাবে আইনের হাত থেকে। তাই বলা হয়েছে পরীমণিকে নিয়ে আবারো মাতামাতিতে অমি সাইফুলদের অপরাধ থাকছে অধরায়।