এইচ এম জালাল আহমেদ
ডিএমপি ফাঁড়ি বাক্সের পুলিশ নিয়ে আলোচনা করতে বিবেকে বাধে। বিশেষ করে যাদের নোংরামির কথাটা লিখছি তারা অনেকেই সন্তানের বয়সি। এগুলো নিয়ে ইতোপূর্বে কখনো লিখিনি। তাদের নিয়ে লেখা রুচিতেও আসেনি কখনো। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি তা যদিও একেবারে নিচের অবস্থানের। তবে তাদের নোংরামিটা একেবারেই জঘণ্য। এগুলো পুলিশ কমিশনার তো দুরের কথা পদস্থ এবং রুচিশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাবতেও কষ্ট হয়। তারা ভাবতে পারবেন না এতটা নোংরা মনমানসিকতা লালন করে একজন মাস্টারডিগ্রীধারী মানুষ। তার দ্বারা ঘটতে পারে। তেমনটিই ঘটাচ্ছে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের দু’টি ফাড়ি ও বক্সের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা। বিশেষ করে বিমানবন্দর গোলচত্তরে অবস্থিত পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও তার সহযোগী একজন সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করার নামে অর্থলোভে কতটা নোংরামি করছে। তাদের নোংরামিটা একেবারেই সীমা লঙ্গণ করছে বলে সামালোচনাকারীরা প্রকাশ্যে বলছেন।
সামান্য এলাকার ফুটপাত দখল বেদখলের খেলা মেতে প্রাণহানি ছাড়া সবই ঘটিয়েছে। তার দু’জন লাইনম্যান ইতিমধ্যেই চলে গেছেন চির নিজ ঠিকানায়। একজন লাইনম্যানকে উচ্ছেৎ করতে,নানা ধরনের অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছেন। তার এ কাজটি শোনতে খুব ছোট হলেও তার অর্থ উপার্জনের বিষয়টি বিতর্কিত। ভাবতে অবাগ লাগছে ফুটপাতের অর্থ হাতিয়ে নিতে তারা যা খুশি তা করতে পারেন। যে সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)র আলোচনা করা হচ্ছে তিনি নাকি বিমানবন্দর বক্সে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে রয়েছেন। কিন্তু এটা কোন বিধানে রয়েছে কিনা জানা নেই। তবে রয়েছে এটাই সত্য এবং সঠিক। যাই হোক তারা প্রভাবশালী বলেই থাকতে পারে এবং কর্তৃপক্ষ রাখতে বাধ্য। সে কারনেই রয়েছে। কিন্তু আলোচনার বিষয় হচ্ছে একজন বক্সের থাকা পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করা ও এলাকার শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকা একজন উপ পুলিশ পরিদর্শক কতটা নোংরা হতে পারে এবং ফটপাত নিয়ে রঙ্গলিলায় লিপ্ত হতে পারে তা একমাত্র বিমানবন্ধর বক্সের সে উপ পুলিশ পরিদর্শকই উদাহরন নয় প্রমাণ।
যারা বিমানবন্ধর গোলচত্তর হয়ে হাজিক্যাম্প আসা যাওয়া করেন তারা অধিক ভালো বলতে পারবেন উল্লেখিত এলাকার ফটপাত ও মুল সরক হাত হিসেবে কিভাবে ইজারা দিয়ে বাবলু ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে টাকা তুলে মানুষের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। বিকেল চারটা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত হকার নামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দখলে দিয়ে রাখছে। ফলে সেখানের মূল সড়কে গাড়ি নিয়ে তো দুরের কথা পায় হেটেও চলাচল করার কোন সুযোগ থাকে কিনা তা সরেজমিনে গেলে প্রমাণ মিলবে। এ লাকায় আড়াই থেকে তিন শত দোকানের মতো রয়েছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কটিতে দাঁড়ালে মনে হয় যেন একটি মাছ তরকারীর বাজার। যারা রাস্তাদিয়ে চলাচল করেন তাদের মুখে কি গালি বেরহয় তা যারা নিজ কানে শুণেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। এখানে আয়ের উৎস হচ্ছে প্রতি দোকান বসানোর জন্য দোকান প্রতি ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এভাবে পজেশন বিক্রির নামে প্রধান লাইন ম্যান হিসেবে পরিচিত বাবলু টাকা পুলিশের নামে গ্রহণ করে। তাছাড়া তার সাথে থাকা সহযোগী আরো ৪/৫ ব্যক্তি দিয়ে প্রতিদোকান থেকে বিভিন্ন খাতে ৩০, ৫০ ও ১০০ টাকা হিসেবে মোট ৫৫০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা আদায় করে।
প্রতিদোকানে গড়ে ৭৫০ টাকা পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে এতে প্রতিদিন দু’লাখ ২৫ হাজার টাকা ওঠে। এ টাকা যে শুধু বক্সের পুলিশে নেয় তা ঠিক নয়। বক্সের কর্তার থাকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ কোথায় যায় তা সরেজমিনে যারা জানেন তারা ভালো বলতে পারবেন। জেনে নিলে ভালো । এগুলো জানলে আসলে ঘৃণা করা ছাড়া অন্য কিছু করার থাকে না। কারন এ নিয়ে কথা বলাও নিজেকে ছোট মনে হয়। কিন্তু উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও তার সহযোগী এক সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) কিভাবে এক কর্তৃত্ব দখলে নিতে ওসি এসি এডিসি ও ডিসিকে বোকা বণে নিয়ে কিভাবে নোংরা খেলায় মেতেছে তা সরেজমিনে না গেলে কাগজে লিখে বা মুখে বলে বিশ্বাস করানো বড় কঠিন বিষয়। তাদের কর্মকান্ডে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি কতটা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে তাও সরেজমিনে গেলে প্রকাশ পাবে। এখানে লিখে দু’পুলিশ কর্মকর্তার জন্য ওসব নোংরামির দাগ গোটা পুলিশ বাহিনীর ওপর দেয়াটা উচিৎ নয়। আরো কিছু বিষয় রয়েছে যা তুলে ধরা প্রয়োজন এবং আজমপুর পুলিশ ফাড়ির কর্মকর্তার আচরন বাস্তব বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী আলোচনা।
বৃহস্পতিবার, জুন ১
সংবাদ শিরোনাম
- জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
- লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না
- দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
- কমলগঞ্জে অভিনব কায়দায় সিএনজি চুরি : কৌশলে নগদে টাকা আদায়
- রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মোক্ত বাজেট ঘোষণা
- এনবিআরের দাবি করা কর দিতে হবে ড. ইউনূসকে
- কাউকে জেতানো বা পরাজিত করা ইসির দায়িত্ব নয়
- ভালুকায় অসংক্রামন রোগের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত