এইচ এম জালাল আহমেদ :
সত্যিই বলার কিছু নেই। বললেও কোন কাজে আসবে না। আলোচনা হলে সমালোচনা বাড়ে, নোংরামিতে যারা লিপ্ত তাদের বন্ধুদের তালিকায় অধিক। তাদের পরিচয় পরিচিতি সবাই উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই রয়েছে। তাদের অনুরোধটা এরকম যে সবাই যেখানে একই কাজ করে সেখানে দু’একজনের বিষয়ে আলোচনা করে কি হবে। অবশ্য তারা যথার্থই বলছেন। কয়লা ধূইলে ময়লা যায় না। ধূইতে ধুইতে শেষ হয়ে যায় কিন্তু কালো রং বদলায় না। বদলাবে না বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের আইসিসহ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) চিহ্নিত ফাড়ি বক্স এর আইসিদের চলমান প্রক্রিয়া ও নোংরামি। তাদের নোংরামি নিয়ে লিখতেও রুচিতে বাধে। এতটা নিচুমানের নোংরামি যা লিখে প্রকাশ করা অনেকটা দুরহ। কারন লেখনিতে অতটা তুচ্ছতাছিল্যের বিষয়টি লিখে আলোচনায় স্থান দিলে ওদের মত নোংরামনের মানুষদের চরিত্র দিয়ে গর্বিত পুলিশ বাহিনীকে কালিমা মাখা যায় না। তাই নিজের কাছে এবং বেশ কিছু বন্ধুদের অনুরোধে পরিস্কার হয়েছে তাদের নোংরামির সম্পর্কটা কোথায় এবং কতদুর ছড়িয়ে পড়ছে। বন্ধুবর অনেকেই কয়েকদিনের লেখার আলোচনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তুলে ধরছেন নানা অপকর্মের ফিরিস্তি। সে সব আলোমনামা শুনলে নিজের চোখই বুঝে যায়। হেড হয়ে যায় মাথা। ঘৃণাজাগে নিজের ওপর। যে নোংরামি নিয়ে আলোচনা করছিলাম তা বারন করতে যারা অনুরোধ জানাচ্ছেন তাদের পরিচিতির ওপর। অবশ্য সাথে হালকা হুমকিও বিদ্যমান রয়েছে। হুমকির বিষয়টি আরো নোংরা পদ্ধতি। রাস্তায় ডাকা একটি চার পা এর প্রাণীর চেয়েও হিং¯্রতার প্রকাশ ঘটছে তাদের অনুরোধে মাঝে।
যাই হোক কেউ কাউকে গুম হত্যা করতে পারেনা যদি বিদাতার লিখন না থাকে। কেউ মিথ্যা মিথ্যি আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে বেশী দুর এগুতে পারেনা। যদি সততার জোর থাকে। জীবনে অনেক হুমকি হামলা ও নানা রকমের সমস্যা দেখে আসছি। আইন আইনের অবস্থানে রয়েছে এবং তা যৌক্তিক পরিস্থিতিতে দাঁড় করানো কঠিন কোন বিষয় নয়। এ বিষয়টি বোধ হয় নোংরা কর্মকান্ডে যারা জড়িত থাকে তাদের বুঝতে হয়ত ভুল করছে বলে প্রতিয়মান হয়।
আলোচনাটা খুব সহজ ও স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে আসছিলাম। কিন্ত ২/৩ দিন ধরে বেশ কিছু বন্ধুরা বেশ অনুরোধ জানিয়ে বলছেন, আলোচনায় যেন বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের আইসির বিষয়টি স্থান না দেয়া হয়। তিনি তাদের খুব কাছের ছোটভাই। তাদেরকেও প্রশ্ন করেছি এবং যে উত্তর পেয়েছি তা এখানে লিখতে রুচিতে বাধে। তাদের নানা যুক্তি ভাবিয়ে তুলছে। কোনভাবেই মেলাতে পারিনি এখনো তাদের অনুরোধ কেন? তারা যেভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন তােেত নিজেই লজ্ঝিত হচ্ছি। মনে প্রশ্ন জাগছে সত্যিই নোংরামির বিষয়টি লেখা খুব কঠিন। ইচ্ছে থাকলেও চ‚ড়ান্ত অবস্থানে দাঁড় করানো খুবই কঠিন ও দুরহ ব্যাপার। নইলে বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের আইসির বছরাধিক নোংরামির ফিরিস্তিটা তুলে ধরতাম। তিনি একজন উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাস্টার ডিগ্রীধারী হলেও চেহারা, শিক্ষা ও কাজের রুচির সাথে কোন মিল নেই। তিনি সড়কের ফুটপাত ও মূলসড়কে হকার নামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসা ও ওঠানোসহ অধিক অর্থ উপর্জনের লক্ষ্যে কথিত লাইনম্যান এর একক কর্তৃত্ব সৃষ্টির জন্য যে নোংরামির পথ বেছে নিয়েছে তা পুলিশ বাহিনীর পুরো বিধি পরিপন্থি।
আইন প্রয়োগের সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিভাবে আইন পরিপন্থি কাজ করছেন। একজন মানুষকে এলাকা ছাড়া করতে গিয়ে মারপিট করতেও তার বিবেকে বাধেনি। শুধু তাই নয়, তাকে সরানোর জন্য কয়েকদফা হামলা চালানো হয়েছে। বারবার মামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। তার অনুমতি সাপেক্ষে মারপিট হয়েছে সে ব্যক্তিকে। অবশ্য সে ব্যক্তির মারপিটের বিষয়টি প্রথমে মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পড়ে মামলা নিতে বাধ্য হয়েছে। ভিকটিম কোথাও কোন সুযোগ না পেয়ে উত্তরা বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছে ফলে মামলা নিতে বাধ্য হয়েছিল। সে মামলায় আদালতে বিচারের জন্য অভিযোগপত্রও তিনি পাঠিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। এ মামলার প্রধান জড়িত ব্যক্তি বাবলু মামলা থাকার পরও একাই বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের আওতাধিনের ফুটপাতসহ নানা অবৈধ ব্যবসায়িদের নিয়ণÍ্রণ করে আসছে। তাকে দিয়ে কিভাবে দু’দু’টি মানুষেকে অর্থ চাপ দিয়ে শেষ পরিনতিতে পৌছে দিয়েছে তা মৃত্যু দু’ব্যক্তির স্বজনরাই ভালো বলতে পারবেন।
ফুটপাতের প্রত্যেক দোকান থেকে প্রতিদিন কথিত লাইনম্যান বাবলু অর্থ তুলে ভাগবাটোয়া করে নিচ্ছে। আরো কিছু নোংরামি রয়েছে যা সমাজ, আইন বিরোধী বলে বিবেকের কাছে বিবেচ্য। জানিনা ডিএমপি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে। আলোচনার শুরুতেই বলা হয়েছে বিমানবন্দর পুলিশবক্স সহ ডিএমপির চিহ্নিত কয়েকটি ফাড়ি বক্স এর দায়িত্বরতদের নোংরামি গোটা পুলিশ বাহিনীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর চেয়েও কতিপয় ব্যক্তির সম্পর্কের কারণ উদঘাটন প্রয়োজন। জানিনা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি প্রয়োজনের দৃষ্টিতে দেখবেন কিনা। দেখবেন কি দেখবেন না তা তাদের একেবারেই নিজস্ব ব্যাপার। যেসব বন্ধুরা কয়েকদিন যাবৎ আলোচনাটি বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন, তাদেরকে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন রাখছি, আপনারা ওদের জন্য অতো গুণগান গাইছেন কেন? আপনারাই তো গোটা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কালিমা মাখার মত কথা বলে থাকেন। কিন্তু নোংরামিতে জড়িতদের পক্ষে কেন? এ প্রশ্নের জবাব চাইব না তবে বন্ধুরা আপনারা নিজ বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুণ অনুরোধটি যথার্থ কিনা? আপনাদের অনুরোধে না হয় এ আলোচনাটি এখানেই ইতি টানলাম। আপনারা কি নিশ্চিত করতে পারবেন তো, যে সব নোংরাদের নোংরামি তুলে ধরা হয়েছে এবং ধরতে আলোচনা অব্যাহত রাখছিলাম তাদের ঘৃণিত নোংরামি বন্ধ হবে তো?