অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে মরদেহ শনাক্তে দ্বিতীয় দিনের মতো স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ইউনিট।মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) সামনে স্থাপিত বুথে সকাল ১০টার থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু করে সিআইডি। এ সময় নিহতের স্বজনরা নমুনা দেওয়ার জন্য আসেন। সিআইডি চট্টগ্রামের ফরেনসিক ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, সোমবার (৬ জুন) ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ সদস্যের পরিবারও রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। মরদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। তবে এখনো ১৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি।এদিকে আজও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনারের ডিপোর ভেতর। ফলে দুর্ঘটনার ৫৬ ঘণ্টায়ও ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে আরটিভি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছু কনটেইনারের ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন সেনাবাহিনী সদস্যরাও। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর চেষ্টার মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক পর রাসায়নিক ভর্তি কনটেইনারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নিহত হন ৪১ জন। আহত হন ৪৫০ জন।