ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাকে আটক না করে ৯৯৯ এ তথ্যপ্রদানকারীকে আটক করার অভিযোগ উঠেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। আটককৃত তথ্যপ্রদানকারী যুবক উপজেলার ডাঙ্গারপাড় গ্রামের শেখ খোকনের ছেলে ইমরান শেখ (সবুজ)। এ প্রতিবেদনটি বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত লেখাকালে ওই যুবককে থানায় আটক রাখা হয়। স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে ঘারুয়া গ্রামের গোবিন্দর ছেলে রাম স্থানীয় মাদক বিক্রেতা হাবি শেখের কাছে আসে। এ সময় এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়েই হাবি শেখ সহ অন্যান্নরা সটকে পড়েন। এ সময় বিক্রেতা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও নগদ অর্থসহ ক্রেতাকে আটক করে এলাকাবাসী।
কিন্তু, এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল তাকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তখন নিরীহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ডাঙ্গারপাড় গ্রামের ইমরান (সবুজ) ৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের কথা না শুনে এবং ঘটনাস্থলে ধৃত ইয়াবা ক্রেতা ও বিক্রেতাকে না পেয়ে উল্টো তথ্যপ্রদান কারী ইমরানকে (সবুজ) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে জহির মাতুব্বর, বাচ্চু শেখ ও লিটন শেখ অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় ইয়াবাসহ মাদকের একটি বড় সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘারুয়া গ্রামের গোবিন্দর ছেলে রাম প্রায়ই আমাদের এলাকায় মাদক কিনতে আসে।
অথচ মাদকের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পুলিশ না খুঁজে উল্টো নিরীহ ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে গেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই মাসুদ, এএসআই পরিতোষ সহ তাদের সঙ্গীয়ফোর্স। ইমরানকে (সবুজ) আটক না করার বিষয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে বারংবার অনুরোধ করলেও থানা পুলিশ সেকথা শুনেনি। এ ঘটনায় জনমন্যে পুলিশি আতঙ্ক সহ নানান সমালোচনার ঝড় বইছে। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক মাসুদ আলম বলেন, অভিযোগ হলো ও (সবুজ) ৯৯৯ এ ফোন দিছে। ও বলছে যে, মাদক ও টাকা সহ একজন ব্যক্তিকে আটক করা হইছে। কিন্তু, ওই রাতে ঘটনাস্থলে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে না পেয়ে ইমরানকে (সবুজ) আটক করে থানায় আনা হয়। এ বিষয়ে ঘারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সুর মুন্সি বলেন, আমি থানায় এসেছি। থানার ওসির সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী জানান, এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।