শামীম আল-মামুন, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কৈট্টা এলাকায় অবস্থিত এক সময়ের বহুল আলোচিত এনজিও প্রশিকা ট্রাস্টের পুকুরে বিষ প্রয়োগে ১২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মচারীরা। গত শুক্রবার রাতের কোন এক সময়ে এই বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে বলে সাটুরিয়া থানায় প্রশিকা ট্রাস্টের একাউন্ট ম্যানেজার মো: নজরুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। জানা গেছে, এক সময়ের শীর্ষ এনজিও হিসেবে পরিচিত, নানা ধরনের জাতীয় ইস্যুতে মুখ্য ভুমিকা পালন করে আলোচিত সমালোচিত দেশের এনজিওদের সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান এডাবের সাবেক চেয়ারম্যান ডঃ কাজী ফারুক আহমেদ পরিচালিত প্রশিকার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে আজ তারা জৌলুশ হারিয়ে ম্রিয়মাণ।
এই কৈট্ট্যায় অবস্থিত তাদের কনভেনশন সেন্টারে এক সময়ে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতো, নানাবিধ সেবা চালু ছিলো, কিন্তু বিগত দশক যাবত ট্রাস্টের সম্পত্তি নয়ছয় করা সহ নানাবিধ দূর্নীতির অভিযোগ তুলে নিজেরা পাল্টাপাল্টি হামলা মামলায় বিপর্যস্ত। এই ট্রাস্টের পরিচালনা পর্ষদ ও সম্পত্তি নিয়ে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলাও রয়েছে একাধিক। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিকা অফিসের পূর্ব পাশের ৩ নং পুকুরে শনিবার ভোরে স্টাফরা দেখতে পায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। এর আগে শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় তাদের জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দিয়ে মাছ ক্রয়ের অজুহাতে কি পরিমান মাছ আছে তা জানতে চায় কমল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি।
কমল ট্রাস্টের পাশেই নাজিমউদ্দিনের পুকুরে নিয়মিত মাছ ধরে, আর নাজিমুদ্দিন প্রশিকা থেকে বহিস্কৃত। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নাজিমুদ্দিন, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, ফজলুল হক, আব্দুল বাসেত এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অভিযোগ দায়ের করা আছে। এ সকল ব্যক্তিবর্গ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন নাশকতার সাথে জড়িত। প্রশিকা মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র ট্রাস্টের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এই সম্পত্তি কোন ব্যক্তির নয় দেশের, অথচ নাজিমুদ্দিন, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মো: ফজলুল হক, আব্দুল বাসেত পূর্ব শক্রতার জের ধরে বেশ কিছু ফলগাছসহ উক্ত পুকুরের পানিতে গোপনে কৌশল করে বিষ মিশিয়ে মাছের ক্ষতিসাধন করেছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকা।