মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ:
রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠা হাজী মোহাম্মদ জালালউদ্দিন রূমি রাজনকে আগামীতে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের কান্ডারী হিসেবে দেখতে চায় তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। তাই সকলের চাওয়ায় তিনি এবার জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে পদপ্রার্থী। তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
তাই জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় বটে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী রাজন এ জেলার একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তার বাবা সদর উপজেলা পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিস-উজ-জামান আনিস। তার বাবা মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সফল চেয়ারম্যান হিসেবে সকলের কাছে সমাধৃত। মা তহুরা জামান জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী। তার বড় চাচা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাবেক সংসদ সদস্যও। এছাড়া তার আপন বড় ভাই দীর্ঘ দিন জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বড় চাচাতো ভাই হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব নৌকা প্রতীকে দুই দুই বার মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন। তিনি সফলতার সাথে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দাইত্ব পালন করছেন।
এদিকে, জালালউদ্দিন রূমি রাজনের বাবা আনিস-উজ-জামান আনিস মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে এ অঞ্চলের মুক্তিকামী বাঙ্গালীদের সুসংগঠিত করে গড়ে তুলেছিলেন বিএলএফ বাহিনী। সর্বোপরি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জকে পাক হানাদার মুক্ত করতে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।
হাজী মোহাম্মদ জালালুদ্দিন রুমি রাজন ব্যক্তি জীবনে সাদামাটা জীবন যাপন করেন। গরীব দুঃখী দুস্থ-অসহায় নিরিহ সাধারণ মানুষকে মমতায় জড়িয়ে ধরেন এবং মানবতায় কাজ করেন। মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সকল কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দেন। সকল যুবলীগের নেতৃবৃন্দ কর্মী সহ সকলের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ পড়াশোনা করেন এবং উচ্চ-শিক্ষা অর্জন করেন সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে। বলাবাহুল্য যে, অস্ট্রেলিয়ায় রাজকীয় জীবন আরাম আয়েশ বাদ দিয়ে, তিনি তার জেলার সাধারন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়জিত করতে স্ব-দেশে মাতৃভূমির টানে চলে আসে।
এদেশের মানুষের কল্যানে বিশ্ব-শান্তির অগ্রদূত সংবিধানের মানসকন্যা মমতাময়ী জননী বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার দলের মঙ্গল কামনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৃনমুল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন নিরলসভাবে। সময়ের সাহসী সন্তান আলোকিত মুখ তিনি নিজের জন্য নয়, মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে একযোগে, ঐক্যবদ্ধ ভাবে একে-অপরের পরিপূরক হয়ে আগামীর দিনগুলোয় সকলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় তিনি। জেলার আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে, তাকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পেতে চায় সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
তিনি, ২০০৬ সালে বিএনপি – জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহন। ২০০৭- ২০০৮ সালে অবৈধ তত্ত্ব্যাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ভূমিকা পালন। ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় এবং স্হানীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারীতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে দক্ষিনের প্রচারনায় মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের হয়ে ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা পরিচালনা এবং নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এতে জেলা, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের তৃনমূল আওয়ামী যুবলীগের সকল নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধভাবে সাদা মনের মানুষ, পর উপকারী হাজী জালালুদ্দিন রুমি রাজন’কে আগামীর মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের “সভাপতি” পদে দেখতে চায়।