মো: রমজান আলী, রাজশাহী:
মোঃ রফিকুর রহমান (লালু), পিতা: শামসুর রহমান কান্দু। সাং- কাজলা (মৃধা পাড়া), মতিহার, রাজশাহী। এরা তিন ভাই। এর মধ্যে লালু বড়, মেজো লুলু, আর ছোট শ্যামল। তবে বড় আর ছোট ভাইয়ের সাথে নিজ বাড়িতে থাকেননা মেজো ভাই লুলু। কারন লালু আর শ্যামল এরা দু’জন কুটবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। লালুর অতিত ইতিহাস হলো সে ছাত্র মৈত্রী করতো। পরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাবি ক্যাম্পাসে ঠিকাদারি কাজ বাগাতে জামায়াতের রাজনীতি করতো। বর্তমানে সে নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী বলে দাবি করে। কিন্তু পুরো এলাকার স্থানীয়রা তাদের এই সুবিধাবাদির কাছ থেকে দুরে থাকে। সেই সাথে নিজ বংশের লোকজনও। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজ বাড়ির পেছেনে লালুর ইন্দনে শ্যামল দু’টি ঘর বানিয়ে চালাতো রমরমা জুয়ার আসর।
সেই সাথে ফেনসিডিলের কারবার। এছাড়া চড়া সুদে এলাকার মানুষকে টাকা দিতো শ্যামল। তার টাকার সুদ দিতে গিয়ে স্থানীয়দের অনেকেই সর্বশান্ত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন তাদের কাছে। এই রকম উদাহরনের শেষ নেই। তাদের জুয়া আর মাদক কারবার বন্ধে ২০০৮ সালে মতিহার থানাধিন কাজলার মোড়ে সাবেক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে শতাধিক স্থানীয়রা একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এরপর আরএমপি পুলিশ কমিশানার এর নির্দেশে তৎকালীন সময়ে মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসি মোঃ রোকনুজ্জানের নেতৃত্বে তোফাজ্জল ওসি ও সঙ্গীয় ফোর্স। লালুর ও শ্যমলের নিজ বাড়ির পেছনে নিজ বাগানে জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তারা জুয়ার আসর বসানো ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। সেই সময় উৎসুখ জনতা এই পাপিদের রাজ্য ধ্বংস দেখে ডিবি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরপর দির্ঘদিন পুলিশের নজরদারির কারনে ঘাপটি মেরে থাকে তারা দুই ভাই। হাটৎ কিছুদিন দিন হলো দূর্গাপুরের চিহ্নিত গরু চোর ইমদাদের কাছে ভিড়েছে লালু।
সংবাদ চলমান নামের একটি অনলাই পোর্টালের কার্ড নিয়েছেন এরা দুই ভাই। রাবি অভ্যান্তরে অফিস বানিয়ে সেখানেই চলছে পত্রিকার নামে মাদক সেবন ও চিট বাটফারী। এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে লালু আর শ্যামল নাকি সাংবাদিক। অর্থাৎ জুয়া আর মাদক কারবার থেকে প্রোমোশন হয়েছে। কিন্তু সংবাদ লিখতে দিলে হয়তো কাগজ কলমের উপর মাউন্ড করবে তা গ্যারেন্টি দিয়ে বললে ভুল হবেনা। এরই মধ্যে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব ভেঙ্গে দু’টি প্রেসক্লাব হয়েছে। একটি শিরোইল দোসর মন্ডলের মোড়ে অবস্থিত। সেখানেও রয়েছে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। অপর মডেল প্রেসক্লাবটি রানীনগর আরএইচ ছাত্রাবাসের পাশে অবস্থিত। সেখানে ইমদাদ সাধারন সম্পাদক আর মোঃ রফিকুর রহমান (লালু) ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। কোনটা আসল কোনটা নকল তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। কোন দিন সাংবাদিকতা না করেই লালু প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক! সাংবাদিকতা কত সহজ ! এই মহান পেশার ইজ্জত শেষ করতে মরিয়া এই দালাল চক্র। ফেনসিডিল খেয়ে এই বয়সে সামনের দাঁত হারিয়েছে লালু। ফেনসিডিলসহ মতিহার থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলেও গেছেন এই লালু যার সাক্ষী এই প্রতিবেদক নিজেই। সেই এখন সংবাদ চলমান নামের একটি ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক। তার প্রকাশক ও সম্পাদক একাধিক মামলার আসামি ইমদাদ। পাহাড় সমতুল্য অপরাধ তার। নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা। একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবেদন করতে হলে কমপক্ষে অনার্স পাশ সার্টিফিকেট লাগে। তাহলে যোগ্যতা শূন্য ব্যক্তি কিভাবে প্রকাশক সম্পাদক হয়। এদের মূল কাজ হলো চিট, বাটফারি করে মানুষের কাছে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতানো। স¤প্রতী মহামান্য হাইকোর্ট ৯২টি নিবন্ধিত পোর্টাল বাদে সবকটি পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও ভুঁইপোড় অনলাইনের কার্ডধারীদের দৈরাত্মা কমছেনা। এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে মূলধারার সাংবাদিকদের মাঝে।
আর মাদক কারবারী ও বিভিন্ন শ্রেণীর টোকাই গোছের লোকজনের কাছে কার্ড বিক্রি করে টাকা হাতানো তাদের আরেকটি ব্যবসা। বর্তমানে এই ইমদাদ গরু চোরের পার্টনার সেজেছে লালু। এদের প্রেসক্লাবের সদস্য কারা। তাদের তালিকা নিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার জন্য মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন পেশাদার সাংবাদিকগণ ও সচেতন মহাল। উল্রেখ্য, অপ-সাংবাদিকতায় শুধু রাজশাহী নয় সারা দেশই এখন সাংবাদিক নামধারী কিছু প্রতারকের কারণে গণমাধ্যম এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা। গণমাধ্যম কর্মীদেরও প্রতি আহবান, সাংবাদিক নামধারী এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করে গণমাধ্যমের স্বাধীন স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। তা না হলে একদিন সবাইকে এর চরম মূল্য দিতে হবে।