বাগেরহাট প্রতিনিধি
মোংলা বন্দরে ৯৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড করেছে যা বন্দর সৃষ্টির ইতিহাসে এক অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জাহাজ আগমন। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বন্দর ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৫০ সালে বৃটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ “ঞযব ঈরঃু ড়ভ খুড়হং” সুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদীর জয়মনিরগোল নামক স্থানে নোঙ্গর করে। এটাই ছিল মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা। ডিসেম্বর ২০১৭ সালে এক মাসে বন্দরে ৮৭ টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করেছিল, ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে বন্দরে ১০০ টি জাহাজ আগমন করেছিল, ডিসেম্বর ২০২০ সালে এক মাসে ১১৭ টি জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ বন্দরে ১৪৪৭৪ টি গাড়ী অবতরণ এবং ৪৩৯৫৯টিইইউজ কন্টেইনার জাহাজে খালাস-বোঝাই হয়। অনেক চড়াই উত্তরাই পেরিয়ে আসা মোংলা বন্দর বর্তমানে দেশের অন্যতম আকর্ষণ। আজ মোংলা বন্দর নয়শত সত্তরটি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনেররেকর্ড করেছে। যা বন্দর সৃষ্টির সাত দশকের মধ্যে এক অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি জাহাজ আগমনের রেকর্ড। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে দেশেরদক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তথা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বন্দর ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০০১ হতে ২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত এবন্দর নানামুখী প্রতিকুলতার কারণে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। বিগত ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ০৭টি জাহাজ ও সম্পূর্ণ অর্থবছরে ৯৫টি জাহাজ আগমন করে এবং ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে বন্দর ১১ কোটি টাকা লোকসান করে। ফলে মোংলা বন্দর লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণতহয়। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য সরকার অগ্রাধিকার ও বিশেষগুরুত্ব প্রদান করে। এ বন্দর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে কাজ শুরু করে। ফলে ক্রমান্বয়ে মোংলা বন্দর গতিশীল হতে থাকে যার কারণে প্রতি বছর বিদেশীজাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।