মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনস্থ মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর এবং কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত মনু নদী বন্যা প্রতিরোধ ও নদী ভাঁঙ্গন রোধ কল্পে “মাষ্টার প্রকল্প” এর চলমান কাজকে বেগবান ও গুনগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, প্রকল্প পরিচালক ও প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার’র তত্ত¡াবধায়ক নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তর কক্ষে গত ২৪আগস্ট দুপুরে। সভার মুল বিষয়ব¯‘ ছিল, “মনু নদীর ভাংগন হইতে মৌলভীবাজার জেলা সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা” ও “মাষ্টার প্রকল্প” চলমান কাজের গুনগত মান বজায় রাখা ও কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি করা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মনু নদী প্রকল্প পরিচালক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার’র তত্ত¡াবধায়ক কেএম জহিরুল হক, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গন ও উপসহকারী প্রকৌশলী গন, মনু নদী প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, প্রকল্প পরিচালক এবং প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে- প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থ বছরওয়ারী প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ে ঘাটতি, ঠিকাদার মহলের ধীরে চলা নীতি এবং প্রকল্প নিয়ে অপ প্রচারনার বেষ্টনীতে ঘুরপাক খাচ্ছে সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি। বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফুঁসে উঠা মনুনদীর বাঁধ ভাঙ্গা বন্যা এবং তীর ভাঙ্গার অব্যাহত প্রক্রিয়া থেকে মুক্তির লক্ষ্যে গত ২০২০ সনে প্রণীত হয় মনু নদীর বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প। ঐ বৎসর একনেক কর্তৃক প্রকল্পটি অনুমোদিত হওয়ার পর তার ব্যয় ধরা হয় ৯৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। গত ২০২১ সন থেকে ২০২৩ সনের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার কথা। প্রকল্প ইস্টিমেটে রয়েছে ৩০.২৪০ কিলোমিটার এলাকার বাঁধ পূর্ননির্মাণ, ঝুকিপূর্ন ৬৭টি স্পটে টেকসই সংরক্ষন এর জন্য প্রায় ৭৬ লক্ষ সি.সি. বøক এবং সাড়ে ১১লক্ষ জিও ব্যাগ প্রতি স্থাপন, মৌলভীবাজার শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় আড়াই কিলোমিটার ফ্লাডওয়াল নির্মাণ, ৩ উপজেলায় ৮৬ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ এবং ১২.১৭ কিলোমিটার নদী খনন। বাঁধ নির্মাণ এবং পূনঃ নির্মাণের জন্য তিন উপজেলায় নদী তীরবর্তী ২২৮ একর জমি অধিগ্রহনও প্রকল্পের অর্šÍভুক্ত রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথা নিয়মে টেন্ডার গ্রহনের ভিত্তিতে ৩৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে কর্মসম্পাদনের জন্য বাঁছাই করা হয়েছে। যথা নিয়মে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান গুলো কাজ করতে চাইলেও মূল সমস্যা হচ্ছে অর্থ বরাদ্ধ নিয়ে। ৯৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বরাদ্ধ এসেছে ৫৭.৯৮ কোটি টাকা। তার বাহিরে ঠিকাদারদের বকেয়া পাওনা দাড়িয়েছে ৮০ কোটি টাকা। জানা গেছে, প্রকল্প খাতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে বরাদ্দ এসেছে ৩কোটি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছে ৫৪.৯৮ কোটি টাকা।