মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের বাগারাই গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র নানু মিয়া (৪৫) নামে এক গৃহকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানা গেছে- গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৯ঘটিকায় ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের আটঘর গ্রামের আয়নাল মিয়ার বাড়ীতে (মৃত নানু মিয়ার শালীর বাড়ী) যান। সেখানে ১০/১২দিন যাবৎ তার স্ত্রী হাসনা বেগম এক পুত্র ছিলেন। স্ত্রীকে বাড়ীতে ফিরিয়ে আনতে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এক পর্যায়ে তুমুল ঝগড়া হলে নানুর কোমরে লুকিয়ে থাকা বিষ প্রান করে। এর কিছুক্ষন পর সে একটি ধারালে দা দিয়ে তার স্ত্রী হাসনা বেগমকে কোঁপাতে থাকে। এ সময় তার পুত্র ও শালিকার পুত্রদ্বয় তাকে পাল্টা আক্রমনের চেস্টা করলে নানু পালিয়ে যান। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর সকালে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যতরপুর গ্রামের ওয়ারিছ মিয়ার বাড়ীর পাশ থেকে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিস্ট হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নানুকে মৃতঃ ঘোষনা করেন। অপরদিকে, তার আহত স্ত্রী হাসনা বেগমকে ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু, তাকে মৌলভীবাজার শহরের আল-হামরা হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মহসিন জানান- পারিবারিক বিরোধের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হলে নানুর কোমরে লুকিয়ে থাকা বিষ প্রান করে মাটিতে লুটে পড়ে। এর কিছুক্ষন পর সে উটে একটি ধারালে দা দিয়ে তার স্ত্রীকে কোঁপাতে থাকে। এ সময় তার পুত্র ও শালি‘র পুত্রদ্বয় তাকে ধাওয়া করলে তিনি পালিয়ে যান। মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াছিনুল হক বলেন- ঘটনাটি দুই থানার। একটু আইনী জঠিলতা রয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। প্রাথমিক ভাবে জানতে পারছি সে বিষ প্রান করেছে।