মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল সিন্ডিকেটের কামাল-কে ব্রাক্ষণবাড়িয়া গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী ( রুটিন দায়িত্ব) মো: শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী ৩ নভেম্বর-২০২৪ইং এর মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে দায়িত্বভার হস্তান্তর করে যথা সময়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। নতুবা আগামী ৪ নভেম্বর থেকে তাকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসাবে গন্য করা হবে।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল সিন্ডিকেটের কাজ না করে সরকারী টাকা লোপাটসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির একাধিক সংবাদ জাতীয় দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে টনক নড়ে গণপূর্ত বিভাগের। এ নিয়ে মৌলভীবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডার নিয়ন্ত্রন ও কাজ না করে সরকারি টাকা লোপাট এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখার আয়োজনে শহরের চৌমোহনা চত্বরে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভায় বক্তারা বলেন- সরকারী কোটি কোটি টাকা লোপাটকারীদের শুধু বদলি নয়, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বিগত ২০২০-২০২১ ও ২০২৩-২০২৪ইং, অর্থ বছরের সংস্কার/ মেরামত ও আধুনিকায়ন কাজের বরাদ্ধকৃত সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাটকারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে হবে। বিগত দুই বছরে মৌলভীবাজার গণপূর্ত থেকে রাজনগর কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শেরপুর হাইওয়ে আউটপোস্ট, বড়লেখা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জুড়ী থানা ভবন, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জেলা কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি, জুড়ী ফায়ার সার্ভিস, জুড়ী ভূমি অফিস, কমলগঞ্জ ভূমি অফিস, মৌলভীবাজার জেলা মডেল মসজিদ ও বিভিন্ন বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এসব প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনস-এর রিজার্ভ অফিস সংস্কার/ মেরামত ও আধুনিকায়ন কাজের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। সেখানে বিল্ডিং এর চাদের জল চাদ ঢালাই না করে ১১ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার-এর বাংলোয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সংস্কার/ মেরামত কাজের ১০ লাখ টাকা কোন কাজ না করেই উত্তোলন করেন। পুলিশ সুপার-এর বাংলোয়- সংস্কার/ মেরামত কাজ না করে বিল উত্তোলন। পুলিশ লাইনস-এর চলমান কাজে সমাপ্তি দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেন। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, বক্ষবিধি হাসপাতাল, জেলা প্রশাসক অফিস ও নাসিং ইনষ্টিটিউটি সংস্কার/ মেরামত কাজ একই ভাবে অনিয়ম ও দুর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন।