যশোর প্রতিনিধি
করোনা মহামারি প্রতিরোধে যশোর শহরের পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়েছে ‘লকডাউন’। বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে বাঁশ বেঁধে দিয়ে চলাচল সীমিত করা করা হয়েছে। সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনিকভাবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যশোরে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’টিতে সংক্রমণের হার বেশি। সেই দু’টি ওয়ার্ড হচ্ছে ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড। ইতিমধ্যে তিন ও চার নম্বর ওয়ার্ডে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন শুরু হয়েছে। তিন নম্বর ওয়ার্ডের আটটি ও চার নম্বর ওয়ার্ডের সাতটি পয়েন্টে মূল সড়কের সাথে সংযোগ সড়কগুলোর প্রবেশমুখে বাঁশের ব্যারিকেড কিংবা গাছের গুঁড়ি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ওইসব এলাকার সাথে বাইরের যোগাযোগ কিছুটা হলেও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কঠোর বিধি-নিষেধের প্রথম দিনে পুলিশ মাঠে সরব ছিল। গত শনিবার রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি যশোর পৌরসভার দু’টি ওয়ার্ডে সরকারি বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারই আলোকে তিন ও চার নম্বর ওয়ার্ডে সীমিত পরিসরে জনসাধারণ চলাচল করতে পারবে। বিনা প্রয়োজনে এই দু’ ওয়ার্ডের লোকজন বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় ঘটলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। ওয়ার্ড দু’টিতে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে লকডাউন পালনে লোকজনের অনীহা রয়েছে। অধিকাংশ লোকই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অনেকে আবার বিনা প্রয়োজনে আড্ডা দিচ্ছেন চায়ের দোকানে। ঘোপ কবরস্থান পাড়া, ঘোপ পিলুখান রোড, পুরাতন কসবা আব্দুল আজিজ সড়ক, কাজীপাড়া, কাঠালতলা, লিচু বাগান, টালিখোলা, ঘোষপাড়া, পালবাড়ি ও নতুন খয়েরতলা জামে মসজিদ সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। তবে, টালিখোলা ও পালবাড়ি গাজীরঘাট রোডে সকালে কোনো ব্যারিকেড দেখা যায়নি। কথা হয় ঘোষপাড়ার শ্রাবণ হোসেন পান্নার সাথে। তিনি বলেন, দিন যতই যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ততই বাড়ছে। তারা ঝুঁকি নিতে রাজি না। এ কারণে স্থানীয় যুবসমাজের উদ্যোগে তাদের মহল্লার প্রবেশ পথে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পালবাড়ি বাজারে অবস্থানকরা ইজিবাইক চালক আব্দুর রহিম জানান, তিনি কোনো সরকারি বিধি নিষেধের কথা জানেন না। লোক মুখে শুনেছেন এখানে ‘লডডাউন’ চলছে। পাগলাদহ বিহারী কলোনি মোড় থেকে পালবাড়ি বাজারে আসতে কোথাও কোনো ব্যারিকেড চোখে পড়েনি। বাজারে রাস্তার ওপর বাঁশ ভেঙে আছে। রাতে কেউ ব্যারিকেড ভেঙে রেখে গেছে। শহরের পিলুখান রোডের মোশারফ হোসেন জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার বিনা প্রয়োজনে কাউকে রাস্তায় নামতে নিষেধ করেছে। এমনকি এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচলেও বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় অন্য এলাকার মানুষ যেন সহজেই এখানে ঢুকে পড়তে না পারেন সেজন্যে এলাকার প্রবেশপথ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আটকে দেয়া হয়। তবে, রাতে একটি ট্রাক ব্যারিকেড ভেঙে রেখে যায়। সকালে এলাকাসীর উদ্যোগে আবারও প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত এ দু’টি ওয়ার্ডে ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ দু’টি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ মনিটরিং করার জন্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে অন্যান্য প্রশাসন কাজ করছে।
মঙ্গলবার, মে ৩০
সংবাদ শিরোনাম
- পঞ্চমবারের মতো আইপিএল জিতলো চেন্নাই সুপার কিংস
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন
- যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক বন্দুক হামলায় নিহত ১৬
- তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে
- বিএনপি নেতা আমান-টুকুর সাজা বহাল
- সৌদি পৌঁছেছেন ৩৩ হাজার ৭৩৫ হজযাত্রী
- মাগুরায় জুয়া খেলায় আটক ৭
- আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন করল রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ