ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী মৃগালী এলাকায় সড়কের পাশ থেকে নিহত সিএনজি চালক মোজাম্মেল হোসেন (২১) নান্দাইল উপজেলার সাভার এলাকার বাসিন্দা ফরিদ মিয়ার ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ । এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার আবুল মনসুরের ছেলে মো. আবু রায়হান (২৫), গাংপাড়া এলাকার নূর আহাম্মদ মিলনের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (১৯) এবং ধামদী এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান সাইদুল (২১)। শনিবার (৪ জুন) এ তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম।তিনি জানান,শুক্রবার (৩ জুন) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে হত্যাকারীদের আটক করা হয়।
ঘটনাটি ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে যাত্রীবেশে মোজাম্মেল হোসেনের সিএনজি ভাড়া করে ময়মনসিংহ শহরে আসে তারা। সময়ক্ষেপণ করে রাত গভীর হলে ময়মনসিংহ থেকে ঈশ্বরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে। এক পর্যায়ে মাঝ রাস্তায় মোজাম্মেলের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার বাবা মো. ফরিদ মিয়াকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে।
টাকা না পেয়ে আসামিরা মোজাম্মেলকে চালকের আসন থেকে জোর করে নামিয়ে যাত্রীর আসনের মাঝখানে বসায় এবং আসামি জিয়াউর রহমান সাইদুল সিএনজিটি চালায়। সিএনজির যাত্রীর আসনে মাঝখানে চালক মোজাম্মেল হোসেনকে বসিয়ে আসামি আবু রায়হান ও আসামি মোজাম্মেল হক দুই পাশে বসে। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মতো চালক মোজাম্মেল হোসেনকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রাস্তার পাশে ফেলে সিএনজি ও মোবাইল ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে মোজাম্মেলের পরিবারের লোকজন আঠারবাড়ী-ঈশ্বরগঞ্জ সড়কে মৃগালী এলাকায় রাস্তার পাশে মরদেহের খুঁজ পায়। ওই দিন নিহতের বাবা মো. ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর দায়িত্ব দেন জেলা পুলিশ সুপার। অবশেষে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটিত হলো। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সিএনজি অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আটককৃতরা।