রংপুর প্রতিনিধি
একটি দেশের টেকসই উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা একটি দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভ‚মিকা রাখে এই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৯ জানুয়ারি ২০১৩সনে সারাদেশে সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষনা দেন এবং ঘোষনার পূর্বেই মাঠ পর্যায় থেকে এইসব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তথ্য চাওয়া হয়, কিন্তু সে সময়ে সারাদেশে ৩০হাজার ৩৫২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলে ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিসংখ্যান ভুলের কারণে ৩০হাজার ৩৫২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষনা দেন এবং তা অনুমোদন করেন। যার ফলে সারাদেশে ৪ হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পরে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় থেকে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পূর্বে ২০১২ সনে কিংবা তার পূর্ববর্তী সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছে সেই সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। এমন ৫০৬টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১২সনের পূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করায় সংসদীয় কমিটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক উপসচিব জাতীয়করণের সুপারিশ করেন। কিন্তু সেগুলো এখন পর্যন্ত জাতীয়করণের আওতায় আসেনাই। ৪১৫৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে সকল শর্ত পূরণ করা প্রায় ১৩০০শত বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য উপজেলা ও জেলা যাচাই বাছাই কমিটি জাতীয়করণের জন্য সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন যাহা মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে। বাকি বিদ্যালয়গুলো যাচাই বাছাই এর প্রক্রিয়াধীন। শিক্ষকদের দাবি মন্ত্রণালয় চাইলে যে কোনো মুহুর্তে জাতীয়করণের জন্য উপজেলা ও জেলা যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত ১৩০০শত বিদ্যালয় জাতীয়করণ করতে পারেন। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ না করে নানা সময় নানা ধরনের চিঠি ইস্যু করছেন । এমনকি ২০১৭সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন সংগ্রাম করছেন এই শিক্ষকরা। শিক্ষকদের বেতন ভাতা না থাকায় দুর্বিসহ মানবেতর জীপন যাপন করছেন। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ খোকন পরবর্তী ১১ সেপ্টেম্বর ২২খ্রিঃ জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন কর্মসুচি ঘোষনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আরকান কাদের সভাপতি বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, জেলা শাখা, রংপুর। মোঃ মোঃ রবিউল আল সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জেলা শাখা রংপুর প্রমুখ।