রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলায় ৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নে ভূয়া পুলিশ সেজে মারামারি সংক্রান্ত মামলার আসামী ধরতে গিয়ে স্থানীয় জনতার কাছে আটক হয়েছেন দুইজন। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছেন। রবিবার সকালে উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের কোনাপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়-আরিফুল ইসলাম নামে একজন মোটরসাইকেল মেকানিক্স একই ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামে বিয়ে করেন। সেখানে বউয়ের সাথে মনোমালিন্য হলে গত ২৭ শে আগস্ট শ্বশুড়রবাড়ির লোকজন তাকে বেধরক মারপিট করে । এরপর সুযোগ বুঝে আরিফুলের পরিবারের লোকজন তার শ্বশুরবাড়ির একজনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন তারা। মামলার পরে দুলাভাইয়ের বাসায় পলাতক আছেন আরিফুল ইসলাম। তার দুলাভাইয়ের বাসায় ‘ভোররাতে কামরুজ্জামান ও দুলাল নামে দুই ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে আসতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। পুলিশের আইডি কার্ড দেখতে চাইলে দেখাতে না পারলে ত্রিপল নাইনে ফোন দেয় তারা। ভূয়া পুলিশ সেজে আটকৃতরা হলেন উপজেলার পাশ্ববর্তী লতিবপুর ইউনিয়নের জায়গীরহাট এলাকার বাতাসন দূর্গাপুর মৌসুমীপাড়া গ্রমের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান ও জায়গীর বাসস্ট মসজিদ সংলগ্ন সাইফুল ইসলামের ছেলে দুলাল মিয়া । জায়গীরহাট এলাকায় নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন- কামরুজাম্মান ইতিপূর্বে রংপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরে ড্রাইভারের চাকুরী করতেন । গেল ৬ মাস পূর্বে তার চাকুরী চলে যায়। সে বিভিন্ন ধরণের নেশায় আসক্ত এবং মাঝে মাঝে ট্রাকের ড্রাইভারি করতেন। অপরদিকে সাইফুল ইসলাম একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী।তবে উভয়ই বর্তমানে হেরোইন ও ইয়াবা নামক নেশায় আসক্ত। পরে মিঠাপুকুর থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেনকে মুঠো ফোন কল দিয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ঘটনা সত্যি আমাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে । তদন্ত তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।