আলী আশরাফ খোকন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ৫ নং রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্নীতীর কারণ দেখিয়ে ৯ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। এরমধ্যে সংরক্ষিত নারী সদস্য তিনজন ও সাধারণ সদস্য ছয়জন রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৭ নভেম্বর বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা । তবে এখন পর্যন্ত তদন্ত না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ইউপি সদস্যরা। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নতুন পরিষদ গঠনের পরপরই ভ‚মি হস্তান্তর কর (১%) অর্থ ইউপি সদস্যদের অবহতি ছাড়াই প্রকল্প দাখিল ও উত্তোলন, যাহা এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়নি। যা ব্যয় করা হয়েছে তাঁর হিসাব মিটিং এ উপাস্থাপনা করা হয়নি। মসজিদ নির্মাণ না করে টাকা উত্তোলন, মাসিক সভায় উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইলে সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ, খানা জরিপ (এ্যাসেসমেন্ট)এর টাকা উত্তোলন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পূর্বের নিয়োগপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের অপসারণ করে অদক্ষ লোক দ্বারা সেবা কেন্দ্রের নামে হয়রানি ও অর্থলুটপাট, সরকারের খাদ্য কর্মসূচী (১৫ টাকা কেজি দরে চাউল) এর অনলাইন কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকার প্রদত্ত মজুরি কার্ড প্রতি ১৫ টাকা থাকা সত্বেও উপহারভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নয়টি নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করা ৯ নং ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের নিকট স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও দূর্নীতীর কারণ দেখিয়ে আমরা লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব করা হয়েছে। এরআগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজার কাছে একটি লিখিত আবেদন করলে চেয়ারম্যান বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সঠিকভাবে পরিষদ পরিচালনা করার অঙ্গীকার করেন। পরে তিনি সেখান থেকে সরে আসায় আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করতে বাধ্য হয়েছি। অনাস্থা প্রস্তাবে তিনি ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন,সংরক্ষিত ৩ নারী ইউপি সদস্য রোকিয়া বেগম,নারগিস বেগম ও রুমেশা বেগম,প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মজলু মিঞা, ১নং ওয়ার্ডের মনিরুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের বাচ্চু আলী,৪নং ওয়ার্ডের মনিরুল ইসলাম মুকুল ও ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ খলিল। ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মজলু মিঞা বলেন, চেয়ারমান একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনা করে থাকেন। সদস্যদের কোন পাত্তা দেয় না। বরাদ্দ বিষয়ে কোন কিছু তাঁদের অবগত না করে তিনি একাই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত বলে তিনি জানান । এ প্রসঙ্গে রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মুঠো ফোনে বলেন, আমি শুনেছি তাঁরা একটি অভিযোগ দিয়েছে। সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। দ্রæত কর্মকর্তা নিয়োগ করে তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।