মোঃ ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী
করেকদির পরপর ভাঙনের আতস্কে থাকতে হয় নদীপারের মানুষ। রাজবাড়ীতে আবারও পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে।পদ্মার পানি কমার সাথে সাথে এই নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে নদীর ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পে তৃতীয়বারের মতন ভাঙ্গন দেখা দিলো। ভাঙন অব্যহত থাকায় হুমকিতে রয়েছ শহর রক্ষা বাঁধ। গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৪ টা থেকে রাজবাড়ী পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ড এবং সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর এলাকায় শুরু হয়েছে এই নদী ভাঙ্গন। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও ভাঙন অব্যাহত থাকে। পদ্মারভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রায় ২০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সরেজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি বসতভিটা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আরো ৫০-৬০ টি বসতভিটা। নদী পারের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে নদী ভাঙ্গন আতঙ্ক। তাদের ব্যাস্ততা এখন ঘরের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার। একই সাথে তাদের মধ্যে শোক এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলম ব্যাপারী বলেন, আমার দীর্ঘদিনের বসতভিটা আজ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। বাড়ির আসবাবপত্র দ্রæত অন্যত্র সরিয়ে নিছি। ঘরটাও ভেঙ্গে নিছে কিছুটা আর বাকিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। আরেক বাসিন্দা আয়নাল শিকদারের বক্তব্য একই রকম। তিনি বলেন, আজ দুপুর থেকে ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে আমার বসতভিটা। দ্রæত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা জানিনা এরপর কোথায় থাকব?কি খাবো? একই এলাকার নাসরিন বেগম বলেন, আমার বিয়ের পর এসে দেখছি নদী অনেক দূরে ছিল। ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন আমাদের বসতভিটাও নদীতে চলে যাচ্ছে। আমাদের যাওয়ার আর কোন জায়গা নেই। মিজানপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, নদীর ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজে অনিয়ম থাকায় এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর তীব্র ভাঙেন এখন শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পদ্মায় পানি কমার সাথে সাথে সৃষ্টি হয়েছে প্রচন্ড ঢেউয়ের। যার ফলে সিসি বøকের নিচের মাটি সরে সিসি বøক নিচ থেকে আলগা হয়ে সিসি বøক দেবে গিয় এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত স্থানে ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।