রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলা কারাগারে নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কারাগারে এ পর্যন্ত সাতগুণের বেশি আসামী বন্দী আছে কারাগারে। এ কারাগারে অতিরিক্ত আসামী বন্দী থাকায় কারাভ্যন্তরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। যে রুমে ১০ জন করে থাকার কথা সেই রুমে এখন অবস্থান করছেন প্রায় ৭১ জন আসামী। একশো জন থাকার কথা থাকলেও কারাগারে এখন রয়েছে ৭১৫ জন। করোনা ভাইরাস মহামারীর সংক্রমণ রোধে সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করায় জামিন পাচ্ছেন না আসামিরা। এতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দীদের কারাগারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে গেলে ঠিক হয়ে যাবে। দীর্ঘ দুই মাস ধরে দুই বিচারকের প্রত্যাহারের দাবীতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন এবং করোনার প্রভাবে মামলার ধীরগতির ফলে আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় মামলার জট তৈরি এবং কারাগারে বন্দীর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে একটি সূত্র জানায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর ১০০ জন বন্দী ধারণ ক্ষমতা নিয়ে চালু হয় রাজবাড়ী জেলা কারাগার। এর মধ্যে ৯০ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা। অনুসন্ধানে জানা যায়, সর্বশেষ বুধবার (২৬ মে) পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলা কারাগারে বন্দীর সংখ্যা ছিল ৭১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৮৮ জন এবং মহিলা ২৭ জন। বন্দীদের মধ্যে সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পুরুষ কয়েদী ৫৯ জন, মহিলা কয়েদী ১জন, বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পুরুষ কয়েদী ৫০ জন, মহিলা কয়েদী ৭জন এবং ৫৯৮ জন হাজতী বন্দী রয়েছে। রাজবাড়ী জেল সুপার মোছাঃ নাহিদা পারভীন জানান, অতিরিক্ত আসামী থাকলেও আমার করার কিছুই নেই। আদালত থেকে কারাগারে আসামী পাঠালে আমাকে গ্রহণ করতেই হবেই।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, এ বিষয়ে আমার এখতিয়ার বহির্ভূত। তবে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে খুব দ্রæতই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার, জুন ১
সংবাদ শিরোনাম
- জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
- লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না
- দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
- কমলগঞ্জে অভিনব কায়দায় সিএনজি চুরি : কৌশলে নগদে টাকা আদায়
- রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মোক্ত বাজেট ঘোষণা
- এনবিআরের দাবি করা কর দিতে হবে ড. ইউনূসকে
- কাউকে জেতানো বা পরাজিত করা ইসির দায়িত্ব নয়
- ভালুকায় অসংক্রামন রোগের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত