মো. রমজান আলী,রাজশাহী
২৩ জুলাই থেকে দেশে চলমান রয়েছে লকডাউন। এতে জরুরী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সকর প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ। তারাপরও অবৈধভাবে সরকার ঘোষত বিধিনিষেধের মধ্যেও রাজশাহী উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় রাজশাহী ইন রেসিডেন্সিয়াল (জঅঔঝঐঝঐও ওঘঘ জঊঝওউঊঘঞওঅখ খঞউ) নামের একটি আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (২৮ জুলাই) নগরীর উপশহরে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানায়, গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে হোটেলটি চালু হয়। মাস-খানেক পর থেকেই শুরু হয় হোটেলটিতে দেহ ব্যবসা। বিভিন্ন উঠতি বয়সী মেয়েদের হোটেলটিতে আনাগোনা দেখা যায়। এলাকায় বাজে পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ায় এনিয়ে বয়ছে সমালোচনার ঝড়। একাধিক স্থানীয়দের অভিযোগ, হোটেলটি রাজশাহীর উপশহরে ৩ নম্বর সেক্টরের মারকাজ মসজিদের পশ্চিমে অবস্থিত। এমনকি পুলিশ ফাঁড়ী থেকে আনুমানিক ৩০০ গজের মধ্যে এই হোটেলটির অবস্থান। হোটেলের পরিচালক মো. আবু ইউসুফ মাসুদ শুরু থেকেই দেহ ব্যবসা চালালেও ফাঁড়ি থেকে কোনো প্রকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। জানা গেছে, হোটেলের পরিচালকের প্রধান সহযোগী হচ্ছেন কৌশিক নামের এক যুবক। তার কাজ খদ্দের যোগাড় করা এবং হোটেলে নিয়ে আসা। সেই সাথে দেনদরবারের মাধ্যমে খদ্দেরের পছন্দের নারী তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। এছাড়াও যুবক-যুবতীরা এই হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে দেদারসে ফুর্তি করছেন। আবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে হোটেলের বাইরেও সরবরাহ করা হচ্ছে যৌন কর্মীদের। এসকল যৌন কর্মীদের সরবরাহের জন্য কৌশিকের সহযোগী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে হোটেলের একাধিক স্টাফদের। তারা মোটরসাইকেলযোগে খদ্দেরদের ঠিকানায় পৌঁছে দিচ্ছেন যৌন কর্মী। তবে নারী পছন্দের বিষয়টি মূলত মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যৌনকর্মী সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত একাধিক মোটরসাইকেল হোটেলের সামনে রাখা রয়েছে। হোটেল থেকে বের হয়ে যৌনকর্মীরা বিভিন্ন মোটরসাইকেল যোগে চলে যাচ্ছে তাদের কাস্টমারদের দেয়া ঠিকানায়।এ ব্যপারে জানতে আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ইউসুফ মাসুদকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, আমার হোটেলের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট। আমার হোটেলের দূর্ণাম করার উদ্দেশ্যেই এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি। আমার হেটেল নামে মাত্র মূল কাজ হলো দেহ ব্যবসা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার হোটেলে চায়ের দাওয়াত রইলো। আসুন সাক্ষাতে আলাপ করবো। এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই শাহীন জানান, উদ্বোধনের এক সপ্তাহ্ পরেই হোটেলটিতে অভিযান চালানো হয়েছিলো। এরপর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন স্যার হোটেলের পরিচালককে ডেকে অনৈতিক কর্মকান্ড না চালানোর বিষয়ে শতর্ক করেছেন। তিনি আরও বলেন, এখনো ওই হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে। এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে আমি ওসি স্যারকে বিষয়টি অবগত করবো।