বাগেরহাট প্রতিনিধি
রামপালে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলের নামে বরাদ্দকৃত চাল তুলে আত্মসাতের অভিযোগপাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গিলাতলা এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করেছে। ডাকে পাওয়া লিখিত অভিযোগে জানাগেছে উপজেলার বাঁশতলীইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মল্লিক মহিদুল ইসলাম জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের একটি তালিকা জমা দেন ইউপি পরিষদের মাধ্যমে। ওইতালিকায় গিলাতলা গ্রামের আশরাফ আলীর পুত্র হাওলাদার সিরাজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে দেন। ওই সিরাজ দেনার দায়ে দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরেনিরুদ্দেশ রয়েছেন এবং তার নামে চেক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজের বাড়িতে গিয়ে তার ঘরের পোতার পরে কলা গাছ লাগানো দেখাযায়। তার বড় ভাই রেজাউলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান দেনার দায়ে ভাই নোয়াখালী চলে গেছেন। বাড়ীতে আসে না বা কোন যোগাযোগ করে নাবলে নিশ্চিত করেন। তবে তিনি ভাইয়ের পক্ষে কোন চাল নেননি বলে দাবী করেন। অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য মল্লিক মুহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলে সিরাজের ৪০ কেজি চাল তার ভাই রেজাউলকে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন করা হয় একজন ফেরারী ব্যক্তির নামে সরকারি বরাদ্দের চাল দেয়া যায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন জেলে কার্ডে তো তার নাম আছে। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের চাল দেয়া হয়েছে। তবে চল আত্মসাতের ঘটনা ঘটলে এবংঅভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, মুহিদুল অন্য জেলেদের নামে চাল না দিয়ে ভূয়া নামে চাল তুলে আত্মসাত করেছে। তারা তদন্তের দাবী জানান।