অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যার জেরে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ টিটো নামের আরও একজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট হত্যা মামলায় নয়, অবসরপ্রাপ্ত এক আর্মি কর্মকর্তার দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় রিমান্ডে ছিলেন সাবেক এই এমপি ও তার সহযোগী। রিমান্ড শেষ হওয়ার পর আজ শনিবার (০৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা গেছে, ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে পল্লবী থানার মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ আউয়ালসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামাল। গত মে মাসে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন সাবেক আর্মি কর্মকর্তা। এই মামলায় তারা দু’দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
রিমান্ড শেষে আজ শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) অনয় কুমার। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাবেক এমপি এবং ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৬ মে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। কারাগারে থাকাকালে তাকে চাঁদাবাজির এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।
গত ১৬ মে পল্লবীতে ৬ বছরের শিশু সন্তান মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিকেল সাড়ে ৪ টায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। সাহিনুদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা ছিলেন। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা আউয়ালসহ ২০ জনের নামে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০ মে ভোরে নরসিংদীর ভৈরবের একটি মাজার থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২৬ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো।