শ্রী দিপু চন্দ্র গোপ, রুপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ রুপগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া(৯)কে অপহরনের পর ধর্ষন করে হত্যা করেছে এক পাষন্ড। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ অক্টোবর শনিবার বিকালে উপজেলার রুপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ এলাকায়। রুপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ পত্র ও নিহত শিশু সামিয়া’র মা পারুল বেগম সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে অভিযুক্ত মোশারফ মিয়া (৪৫) নিহত সামিয়ার নানা সম্পর্কীয় আতœীয়। গে সূত্রে বিভিন্ন সময় নিহতের বাড়িতে যাতায়াত ছিলো অভিযুক্তের। গত শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে সামিয়াকে নাস্তা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় মোশারফ।পরে দুপুর হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। এ সময় মোশাররফের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সামিয়াকে অপহরন বিষয়ে একই দিন রাতে মোশারফকে অভিযুক্ত করে রুপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রুপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট অভিযোগপত্র পাওয়ার পর স্থানীয়দের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে থানা হেফাজতে এনে মোশাররফকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গে। পরে তার দেয়া তথ্যে ২৩ অক্টোবর শনিবার বিকালে উপজেলার জাঙ্গীর কবরস্থান এলাকার আনন্দ হাউজিংএর বালির মাঠ থেকে সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে রুপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, শিশু সামিহাকে অপহরণ করেছে মর্মে একটি অভিযোগ পেয়ে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রæত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে ওই অভিযুক্তের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাঙ্গীর এলাকার বালির মাঠের কাঁশবন থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরো কোন ব্যক্তি জড়িত থাকলে তাকেও দ্রুত আইনের আঁওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে নিহতের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।