নিজস্ব প্রতিবেদক
কৃষিপণ্যের জাত উদ্ভাবন হচ্ছে কিন্তু স¤প্রসারণ ঠিক ভাবে হচ্ছে না। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সহকর্মীদের রুমে রুমে গিয়ে চা-শিঙাড়া খাওয়া খোশ-গল্প বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় তিনি ডিজিকে (মহাসচিব) উদ্দেশ্য করে বলেন, নিজ কক্ষে বসে বসে শুধু চা-শিঙাড়া খাওয়ার আর খোশগল্পের ট্র্যাডিশন বন্ধ করতে হবে। আপনাদের (ডিজি) বলছি, আমি এমন নির্দেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি দেশে ফলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করারও নির্দেশনা দেন তিনি। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশনে (কেআইবি) জাতীয় ফলমেলা উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এমন কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি অফিসে গেলে ডিজিকে ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় না। পিডি (প্রকল্প পরিচালক) ছাড়া প্রকল্পে কী হচ্ছে ডিপিডি (সহকারী প্রকল্প পরিচালক) জানে না। তরুণদের-তো আরও বেশি কাজ করার কথা। তাদের আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। কে কী কাজ করে?’ তিনি বলেন, একজন আরেকজনের রুমে বসে শুধু চা খায়। আমি বহুদিন বলেছি, আবারও বলছি- বারি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট), ব্রি (বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট), বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন)-তে রুমে রুমে বসে চা খাওয়া বন্ধ করে দিন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেউ কারো রুমে গিয়ে চা খেতে পারবেন না। কেউ কারো রুমে গিয়ে শিঙাড়া খেতে পারবেন না। বিদেশি কিংবা বড় কোনো উদ্যোক্তা আসলে তাদের আপ্যায়ন করবেন, তাকে আপনি চা খাওয়ান। কিচ্ছ পাশের রুমের বিজ্ঞানী আসলো আপনি তার জন্য চা-শিঙাড়া অর্ডার দেবেন, সেগুলো একদম আইন করে, অর্ডার দিয়ে- আমি সব ডিজিদের বলছি তা বন্ধ করুন। তিনি বলেন, খামারবাড়িতে (কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর) কেউ কখনো কর্মকর্তাকে চা-শিঙাড়া খাওয়াতে পারবেন না। একদম চিঠি দিয়ে তা বন্ধ করুন। আমি এই অর্ডার দিচ্ছি । আমাদের আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। করোনার কারণে আমরা দুই বছর কাজ করতে পারিনি, আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি।