অনলাইন ডেস্ক:
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছেই। বেশ কয়েকদিন সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমলেও আবারও তা বেড়েছে। তাই কোন ঝুঁকি না নিয়ে সরকার আবারও চলমান ‘বিধি নিষেধ’ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বিধি-নিষেধ বাড়ানো হলে আজকেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৬ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত ‘বিধি-নিষেধ’ বাড়ানো হয়েছিল। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ধরনের ‘রিস্ক’ না নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। গত ১৪ জুন মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।
করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা আছে কিনা? প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এখন থেকে বলে দাও সবাইকে। লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সবাইকে অথরিটি দিয়ে দেওয়া হলো। অলরেডি আমরা চিঠিতে বলে দিয়েছি। উনি আবার রিমাইন্ড করে দিতে বলেছেন। কোনো ধরনের রিস্ক না নিতে। যেখানে যারা কমফোর্টেবল মনে করবেন তারা সেখানে যেন ব্লক করে দিয়ে এটাকে থামানোর চেষ্টা করে।
সবশেষ লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিনিউটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান, জন্মদিন পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। খাবার দোকান, হোটেল রেস্তোরাঁসমূহ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহিতাদেরকে সেবা দিতে পারবে।
কোভিড-১৯ উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে স্ব-স্ব এলাকায় সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এছাড়া আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।