অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারির চলমান পরিস্থিতিতে সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার দ্বি-মুখী আচরণ করছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, অটোপাস আর প্রমোশন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। শনিবার (১৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তারা।
ন্যাপের এই শীর্ষ দুই নেতা বলেন, দেশে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিংমল সবই খোলা। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? প্রকৃত অর্থে সরকারের বৈষম্যের নীতি এর মূল কারণ। সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশের সন্তান বিদেশে থাকে। যাদের পরিবার-পরিজনের কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সমস্যা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। এদের প্রতি তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।
পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে একটানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা ছাড়া বন্দি জীবনযাপন করছে বলে মন্তব্য করেন ন্যাপের নেতারা। তারা আরও বলেন, এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ছে, বাল্য বিবাহের প্রবণতা বাড়ছে, মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞান চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে ন্যাপের নেতৃত্ব বলেন, এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে আগামী প্রজন্ম। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, করোনাকালে গত ১৫ মাসে ১৫১ জন শিক্ষার্থী মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। তাই, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাত্র ও শিক্ষকদের করোনার টিকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে।