মেহেরপুর প্রতিনিধি
১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সূর্বণ জয়ন্তী পালন করেছে সারা বাংলাদেশের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতার যুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছিলো মুজিবনগর সরকার। যে সরকার গঠন না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনই হয়তো সম্ভব হতো না। সেই সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তদানীন্তন শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুজিবনগর মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু র্দীঘ ৪৮ বছর পার হয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি মুজিবনগর মিউজিয়াম। প্রকাশ্যে নেই তবে মিউজিয়াম আছে দাবী করেছেন জেলা প্রশাসন। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার। বঙ্গবন্ধুর নামানুসারে ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথ বাবুর অ¤্রকাননের নামকরন করা হয় মুজিবনগর। শপথ গ্রহন করেন তদানীন্তন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্থানের কারাগারে বন্দী থাকায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ তাজুদ্দীন আহম্মেদসহ মন্ত্রী পরিষদ সদস্যরা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে শেষ সময়ে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের কাজে হাত দেয়। মানচিত্রসহ নানা ভাষকর্য স্থাপন করার কাজ হয়। সে সময়েই মিউজিয়ামের কাজ হয়। কিন্তু তা জনসাধারণের দৃষ্টির বাহিরেই থেকে যায়। বর্তমানে মিউজিয়ামের স্থানে রয়েছে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা। দর্শনার্থীরা শুধুই ১৯৭৪ সালের মুজিবনগর দিবসে ভিত্তপ্রস্তর স্থাপনের নাম ফলক দেখেই শান্তনা পাই। মিউজিয়াম দেখার সৌভাগ্য কোন দর্শনার্থীর হয় না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীরা জানেও না মুজিবনগর মিউজিয়াম আছে। ৪৮ বছর অতিবাহিত হলেও মুজিবনগর মিউজিয়াম আলোর মুখ না দেখতে পাওয়ার বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, মুজিবনগর মিউজিয়াম আছে। তবে জায়গার অভাবে তা উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কারনে পিছিয়ে যাচ্ছি। যদি করোনা না থাকতো তাহলে এতোদিন আবারো নতুন করে মুজিবনগরকে সাজানো যেতো। তবে চেষ্টা করছি মিউজিয়ামটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার।