ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে আবারও প্রতিপক্ষের হামলা বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধার পর ঠিক রাতের খাবার খাওয়ার সময় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে, ১২নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বুরামারা গ্রামে। নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়রম্যান মফিজুল ইসলাম ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৫টিবাড়িতে ও তিনটি দোকানে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় দ‚র্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বুরামারা, শাহাবাজপুর ও শেখরা গ্রামে বতর্মান চেয়ারম্যান মফিজ সমর্থক ও সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ মফিজ সমর্থকেরা ফারুক সমর্থকদের, ফারুকের পক্ষত্যাগ করার জন্য তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
এ ঘটনারই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাতে ১৫টি বাড়ি ও ৩টি দাকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজ জানান তার সমর্থকদের উপর নির্বাচনের পর থেকেই সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকের সমর্থকেরা দফায় দফায় বাড়ী ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। মাঝে মধ্যে তার সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করে ও হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ দিকে পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক জানান নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বিজয় লাভের পর তার সমর্থকদের মাঠে,হাটে,বাজারে যেখানেই পায় নৌকা সমর্থকেরা আক্রমন করে এমনকি গত শুক্রবার সকালে তার বেশকিছু সমর্থকের বাড়ী ঘরে হামলা চালানো হয় এবং
গতকাল মামুদ,কাছেদ ও কালু নামের তার ৩জন সমর্থককে মাঠ থেকে ফসলের ক্ষেতে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষরা মারধর করে তাড়িয়ে দেয় এবং পল্লী চিকিৎসক ফারুককে রাতের খাবার খাওয়ার সময় মারধর করে এমনকি তার খাবার প্লেটও ফেলে দেয়া হয় । এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত এলাকাবাসী প্রতিপক্ষের বাড়ীতে এ হামলা চালায়। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিন‚ল ইসলাম জানান বুরামারা গ্রামে হামলার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে ,বর্তমানে এলাকা শান্ত আছে ও টহল অব্যাহত রেখেছেন। তবে কোনপক্ষই অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেননি বলে জানান। অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহন প‚র্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখাযায় জনসাধারন পুনরায় হামলার আতঙ্কে আছে এবং বাড়ীর গবাদি পশু ও মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ।