রাজাপুর, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
যুবকের বেশ ধরা এক যুবতীর সাথে বসবাস এবং সমকামীতা করে আসছিলো ঝালকাঠির রাজাপুর সদরের ৩ সন্তানের জননী। এরা দু’জন কলেমা পড়ে শপথ করে চিরজীবন সঙ্গী হয়ে থাকবেন বলে অঙ্গিকার করার পরে হঠাৎ উভয়ের মধ্যে রহস্যজনক কারনে বৈড়িতা শুরু হওয়ায় ঘটনা আদালত পযর্ন্ত গড়ায়। পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার আইরন এলাকার মানিক তালুকদারের মেয়ে মারুফা আক্তার তার নিজের নামের সাথে রিপন যুক্তকরে পুরুষের চালচলনে অব্বস্থ হয়ে দীর্ঘদিন রাজাপুরে বসবাস করে আসছিলেন। অপরদিকে পশ্চিম রাজাপুর এলাকার মোঃ মিল্লাত হোসেনের স্ত্রী সোহেলী আক্তার (৩৫) তার সংসার জীবনে তিনটি সন্তান থাকতেও এদের ছেড়ে স্বামীর অন্য একটি বাড়ীতে মারুফা আক্তার রিপনের সাথে রাত্রী যাপন করে সমকামীতায় লিপ্ত হতো।
বিষয়টি এলাকায় অনেকের কাছেই জানাজানি হলেও স্পর্শকাতর বিষয় বলে কেউ এতদিন মুখ খুলেননি। অবশেষে বোমা ফাটালেন মারুফা আক্তার রিপন নিজেই। গৃহবধুর জীবনে অন্য নারী আসায় সমকামী ঝুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং এক পর্যায়ে মারুফা আক্তার রিপনের উপর হামলা নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে। তিনি সমকামী গৃহবধুর হাত থেকে বাঁচতে ১৬ মে ঝালকাঠি ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের স্বরনাপন্য হয়েছেন। নারী হয়ে পুরুষের বেশবুশা আচার আচরন ধারণ করে কেনো চলাফেরা করেন এমন প্রশ্নের জবাবে মারুফা আক্তার রিপন বলেন ছোটো বেলা থেকে আমি এতেই অভ্যস্থ, আমার ভালোও লাগে। অপরদিকে গৃহবধু সোহেলী আক্তার সমকামীতার কথা বানোয়াট আক্ষা দিয়ে বলেন, আমার স্বামীর সাথে রাগারাগি থাকার কারনে ঐ পুরুষ বেশধারী মহিলার সাথে আমি দীর্ঘদিন বসবাস করি। এ ব্যাপারে সোহেলির স্বামী মিল্লাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন আমার সাথে দাম্পত্য শম্পর্ক না রেখে ঐ পুরুষ বেশধারী মহিলার সাথে বেশ সু-সম্পর্ক রেখে রাত্রী যাপন করত। এদের ভিতরে গোপন অন্য কিছু আছে কিনা তা আমার জানা নাই।