মো.শহিদুল ইসলাম
সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত ঢাকা শিশু হাসপাতাল এ্যডভান্সড শিশু সাজারী এন্ড স্টেম সেল থেরাপী ইউনিট স্থাপন প্রকল্পে অর্থের বিনিময় প্রকল্প পরিচালক মো.হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ান সর্বনি¤œ দরদাতাকে কাজ না দিয়ে কাজ দিয়েছেন দ্বিতীয় দরদাতাকে। অভিযোগ উঠছে তিনি প্রায় এক কোটি টাকার বিনিময় মেসার্স ইনভেন্ট টেকনোলজী লিঃ কাজ দিয়েছেন। সর্ব নি¤œ বা প্রথম হওয়া দরদাতা সিনকো টের্ডাস এ বিষয় দুদোকে একটি অভিযোগ দাখিল করছেন। সূত্রে জানা গেছে,২৭ এপ্রিল শিশু ঢাকা হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত ঢাকা শিশু হাসপাতাল এ্যডভান্সড শিশু সাজারী এন্ড স্টেম সেল থেরাপী ইউনিট স্থাপন প্রকল্প থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। সে অনুসারে তিনটি কোম্পনি টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে। তার মধ্যে একটি কোম্পনি নন রেম্পন্সিভ হয়। অন্য দুইটি সিঙ্ক টের্ডাস ও মেসার্স ইনভেন্ট টেকনোলজী লিঃ রেম্পন্সিভ হয়। সিঙ্ক টের্ডাস আহবানকৃত দরপত্রে মূল্য নির্ধারণ করে ৫কোটি ৫০লাখ ৮২হাজার টাকা। অন্য দিকে মেসার্স ইনভেন্ট টেকনোলজী লিঃ দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ করে ৫কোটি ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩১ টাকা। সিঙ্ক টের্ডাস ৩লাখ ৯২হাজার ৩৩১টাকা কম দর দেয়ার কারনে তিনি কাজ পাওয়ার কথা কিন্তু প্রকল্প পরিচালক বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে মেসার্স ইনভেন্ট টেকনোলজী লিঃ এর মালিক আব্দুল আউয়াল এর কাজ থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে তাকে কাজ দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন। একই অধিদপ্তরে ১৭ অক্টোবার ২০২০ সালে আব্দুল আউয়ালের অন্য একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাইন্স হাউস লিঃ কালো তালিকা ভুক্ত করা হয় কারন তিনি তখন কাজ পেয়ে মালামাল বুঝিয়ে দিলেও যে যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছিলো তার গ্যারান্টি ওয়ারান্টি ছিলো তিন বছর। পরে ওই সব মেশিন/যন্ত্রপাতি এক বছরে নষ্ট হলে, তাকে বার বার ডাকা হলেও তিনি সারা দেননি। সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করায় তাকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হয়। তখন তিনি যে মেশিনারিজ সরবারহ করে ছিলেন তার মধ্যে ভেন্টিলেটর, ল্যাপারোস্কপি হ্যান্ড ইনস্ট্রæমেন্ট হারমনিক স্কাল্পেল্, ফটোথেরাপি, পেশেন্ট, মনিটর এন্ড উল্ট্রাসোনোগ্রাফি ছিলো। তিনি এবারেও যে মেশিনারিজ দিবেন তাও সঠিক ভাবে কাজ করবেনা বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এভারে যে যস্ত্রপাতি সরবারাহ করবেন তা হচ্ছে, সাপ্লাই ইনস্টলেশন, টেস্টিং, কমিশনিং এন্ড মডুলার হ্যান্ডওভার অফ কমপ্লেক্স এন্ড কোয়ালিটি মেশিনারী. এ বিষয় প্রকল্প পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম বার দরপত্র আহবান করা হলে চাহিদা মত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান না পাওয়া দ্বিতীয় বারে দরপত্র আহবান করা হলে দুইটি প্রতিষ্ঠান রেম্পন্সিভ হয়। সেখান থেকে দুইটি কোম্পনির মালামাল ক্রয়ের কাগজপত্র পরিক্ষার জন্য কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তারা একটি রেখে অন্যটি বাদ দেন। এখানে আমার কোন ভুমিকা ছিলোনা।